Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ি গিয়ে অত্যাচার, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। শহরে দু’টি জায়গায় পুলিশের দুই ভিন্ন রূপ! ১৪ নভেম্বর সকালে আলিপুরে থানায় জনতার আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ‘কাগজের ফাইলের’ আশ্রয় নিয়েছিল পুলিশ। ১৩ নভেম্বর রাতে বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তিকে মারধর করে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই। যদিও এ ক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। শহরে দু’টি জায়গায় পুলিশের দুই ভিন্ন রূপ!

১৪ নভেম্বর সকালে আলিপুরে থানায় জনতার আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ‘কাগজের ফাইলের’ আশ্রয় নিয়েছিল পুলিশ। ১৩ নভেম্বর রাতে বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তিকে মারধর করে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই। যদিও এ ক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। তবে মারধরের অভিযোগ নস্যাৎ করে এক পুলিশকর্তা বলেন, “তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে ওই পুলিশকর্মীর বিষয়ে লালবাজারে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে, মারধরের ঘটনা ঘটেনি।” অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী আনন্দবাজারকে ফোনে বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তবে কী ঘটেছিল? কুলুপ ওই পুলিশের মুখে।

ঘটনাটি কী? বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডের বাসিন্দা সমীরকুমার কোলে ১৪ নভেম্বর বেহালা থানায় অভিযোগ জানান, কয়েক মাস ধরেই প্রদীপকুমার সরকারের (তিনি যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তার মালিক) সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল। সমীরবাবুর দাবি, ১৩ নভেম্বর রাতে নিজের ফ্ল্যাটে ছিলেন তিনি। হঠাৎ প্রদীপবাবু কলকাতা পুলিশের উর্দিধারী এক ব্যক্তিকে নিয়ে হাজির হন। সমীরবাবুর দাবি, ওই পুলিশকর্মী থানায় নিয়ে যাবেন বলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বার করেন। এটিএম থেকে জোর করে কুড়ি হাজার টাকাও তোলান বলে অভিযোগ। পরে ফের এটিএমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সমীরবাবু বলেন, “তখন বারবার ভুল কোড দেওয়ায় কার্ড লক হয়ে যায়। এর পরে সেখান থেকে সোজা বেলঘরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রদীপ ও পুলিশ দু’জনেই মারতে থাকে আমায়।” তিনি জানান, পরে সেখানেই তাঁকে ফেলে পালান ওই দু’জন। এ নিয়ে বেশি জল ঘোলা হলে তাঁর ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে সমীরবাবুর অভিযোগ। ১৪ নভেম্বর তিনি বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সমীরবাবু জানান, বেহালায় একটি আবাসনে প্রদীপবাবু তাঁর একটি ফ্ল্যাট সমীরবাবুকে ভাড়া দেন। কিন্তু এ বছর জুলাই মাসে প্রদীপবাবু দাবি করেন ভাড়া অর্ধেক দিলেই হবে। কিন্তু দু’টি শোয়ার ঘরের একটি তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। রাজি হয়ে যান সমীরবাবু। কিন্তু তার পর প্রদীপবাবু কোনও যোগাযোগ করেননি বলে দাবি তাঁর। পরে ফের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে দু’বার এসে ঘর ছেড়ে দিতে বলেন প্রদীপবাবু। তখন সমীরবাবু তাঁকে চুক্তির নথি দেখান। এর পর থেকেই সমীরবাবুর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ।

সমীরবাবু পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানোর পরেই বেহালা থানা তদন্ত শুরু করে। পুলিশের এক কর্তা জানান, “ওই পুলিশের ব্যাপারে লালবাজারে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE