Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শতবর্ষে স্মরণ প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণাকে

শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা। তাঁর নামাঙ্কিত ‘প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা সদ্‌ভাবনা বক্তৃতামালা’র নবম বর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ‘বিবেক চেতনা’।

আলোচনাসভায় প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (বাঁ দিকে) এবং প্রব্রাজিকা প্রদীপ্তপ্রাণা (ডান দিকে)। শুক্রবার, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে। নিজস্ব চিত্র

আলোচনাসভায় প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (বাঁ দিকে) এবং প্রব্রাজিকা প্রদীপ্তপ্রাণা (ডান দিকে)। শুক্রবার, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২২
Share: Save:

শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা। তাঁর নামাঙ্কিত ‘প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা সদ্‌ভাবনা বক্তৃতামালা’র নবম বর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ‘বিবেক চেতনা’। শুক্রবার গোলপার্কে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের বিবেকানন্দ হলে সেই অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘শতবর্ষের আলোকে প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা’। তিনি শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষা ছিলেন। এ দিন তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনের তরফে প্রব্রাজিকা প্রদীপ্তপ্রাণা এবং শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা।

প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা তাঁর বক্তব্যে জানান, ১৯১৮ সালে পটনা শহরে জন্ম প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল লক্ষ্মী। সন্ন্যাস নেওয়ার পরেও তাঁকে সকলে ‘লক্ষ্মীদি’ নামেই চিনতেন।

১৯৪৮ সালে তিনি বাগবাজার নিবেদিতা স্কুলে সেবা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় ৩৮ বছর ওই স্কুলেই প্রধান শিক্ষিকা ও সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৯-এ শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হন প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা। ১০ বছর তিনি ওই পদে ছিলেন। তাঁর সময়েই সঙ্ঘ চার দিকে বিস্তার লাভ করেছিল বলেও জানান প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা। তিনি বলেন, ‘‘শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজি শ্রীলঙ্কায় প্রথম সঙ্ঘের শাখাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’’ প্রব্রাজিকা প্রদীপ্তপ্রাণা জানান, নিবেদিতা স্কুলের দ্বাররক্ষী থেকে পূজারী মাতাজি— সকলকেই সমান চোখে দেখতেন ও ভালবাসতেন প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা। সকলের মধ্যেই তিনি সম্ভাবনা খুঁজতেন ও প্রেরণা জোগাতেন। কোনও কাজেই তাঁর ক্লান্তি ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE