Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ছিনতাই রোধে সচেষ্ট ‘নয়’ পুলিশ

ছিনতাই হলে পুলিশ অপরাধী ধরতে পারে না, এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। এ বার থানার নাকের ডগায় এক মহিলা পুলিশকর্মীর হার ছিনতাইয়েও পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ উঠল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০১:২১
Share: Save:

ছিনতাই হলে পুলিশ অপরাধী ধরতে পারে না, এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। এ বার থানার নাকের ডগায় এক মহিলা পুলিশকর্মীর হার ছিনতাইয়েও পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ উঠল। বুধবার ফুলবাগান থানার অদূরে মনিকা রায়ের হার ছিনিয়ে পালায় বাইক-আরোহী দুষ্কৃতী। তার পরে সপ্তাহ পেরোতে চললেও অভিযুক্তদের হদিস নেই। লালবাজারের খবর, ওই ছিনতাইবাজ বাইকে চেপে পালালেও থানার কর্মীরা তা বুঝতেই পারেননি। থানার বাইরে থাকা সিসিটিভি-তে বাইকটির ছবি উঠলেও নম্বর প্লেট চিহ্নিত করা যায়নি।

লালবাজারের হিসেবে, সম্প্রতি শহরে ১০ দিনে পাঁচটি ছিনতাই হয়েছে। তাতে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকেরা। রবিবারও বিধান সরণিতে এক মহিলার ফোন ছিনতাই হয়েছে। দিন কয়েক আগে টালিগঞ্জ, চারু মার্কেট এলাকাতেও ছিনতাই হয়েছিল। বছর কয়েক আগেও শহরে পরপর ছিনতাই হচ্ছিল। গুলিও চালিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। তার পরে ছিনতাই রুখতে উঠেপড়ে লাগে লালবাজার। একের পর এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করার পরে শহরে ছিনতাই কমে।

পুলিশের একাংশের মতে, অপরাধ দমনে থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বয় প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রেই থানা থেকে অপরাধের খবর সময় মতো গোয়েন্দা বিভাগে যায় না। ‘‘সমন্বয়ের বদলে এখন যেন রেষারেষি চলে। এতে সমাজের ক্ষতি,’’ বলছেন এক প্রবীণ পুলিশকর্তা। লালবাজারের কর্তাদের দাবি, তদন্ত চলছে। টালিগঞ্জ, চারু মার্কেটের ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্তও করা হয়েছে। ‘‘পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সংখ্যার বিচারে ছিনতাই কমেছে,’’ দাবি এক গোয়েন্দা-কর্তার। লালবাজারের দাবি, গত কয়েক মাসে ছ’-সাতটি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suspects Kolkata Police Robbery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE