উদ্যোগ: সেজে ওঠা সেই লাইব্রেরি।—ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
লাইব্রেরির প্রোজেক্টরে দেখা যায় ভিডিয়ো ক্লিপিংস। বই নিতে আর ক্যাটালগ ঘাঁটার দরকার নেই। লাইব্রেরির অ্যাপ খুলেই দেখা যায় প্রয়োজনীয় বই আছে কি না। লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে বেরোতে গেলেই বেজে উঠবে ‘অ্যান্টি থেফট গেট’-এর অ্যালার্ম। সজাগ হবেন লাইব্রেরিয়ান। এমনই আধুনিকতায় মোড়ানো বেহালা কলেজের লাইব্রেরি। কর্তৃপক্ষের দাবি, কার্যত স্মার্ট এই লাইব্রেরির সুবাদে পড়ুয়াদের মধ্যে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা ও বই তোলার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।
ডিজিটাল যুগে ই-বুক ব্যবহার করে ও অনলাইন পড়াশোনা করেন অনেকেই। হাতে হাতে ঘুরছে স্মার্টফোন বা ট্যাব। সহজেই অনলাইন বই বা পত্রিকা পড়া যায়। তা হলে নতুন করে লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া কেন? বেহালা কলেজের অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্র বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের পাঠাগারমুখী করতে এই লাইব্রেরিকে আমরা স্মার্ট করেছি। এমনকি দুষ্প্রাপ্য বইও ই-বুক সংস্করণে পড়তে পারবে পড়ুয়ারা। বই নেওয়া-ফেরতের পুরো প্রক্রিয়াই এখানে সহজ ও স্মার্ট।’’
বই রাখার তাক থেকে সর্বত্রই রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। লাইব্রেরির এক অংশে রয়েছে প্রোজেক্টর রাখার জায়গা। শর্মিলাদেবী জানান, আজকের এই অডিয়ো-ভিস্যুয়ালের যুগে পড়ুয়ারা অনেক কিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে দেখতে চান। সে জন্যই লাইব্রেরিতে প্রোজেক্টর রাখা হয়েছে। অডিয়ো-ভিস্যুয়াল কর্নারটি খুবই কাজের, জানাচ্ছেন পড়ুয়ারাও। মাঝেমধ্যেই সেখানে ভিডিয়ো ক্লিপিংসের মাধ্যমে পড়াশোনা সংক্রান্ত তথ্যচিত্র দেখে তাঁরা।
বই ইস্যু করার প্রক্রিয়াতেও রয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বইয়ের সামনের পাতায় আছে ডিজিটাল বার কোড। ফলে বই দ্রুত ইস্যু হয়। বই নিতে গ্রন্থাগারিকের দরকার হলেও ফেরত দিতে কোনও কর্মীর দরকার নেই। এমনকি লাইব্রেরিতে ঢোকারও দরকার নেই। বাইরেই রাখা রয়েছে এটিএম কাউন্টারের মতো একটি ড্রপ বক্স। যে বইটি ফেরত দিতে হবে, সেটি বাক্সের নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাক্সে ঢুকে যাবে। জমা পড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চলে আসবে বই জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র হিসাবে একটি রসিদ।
স্মার্ট লাইব্রেরি নিয়ে পড়ুয়ারা খুশি। তাঁরা বলছেন, ‘‘বেশির ভাগ লাইব্রেরিতে ঢুকলে মনে হয় কয়েক দশক পিছিয়ে গেলাম। এটা আলাদা। বই পড়ায় উৎসাহ বাড়াতে এমন লাইব্রেরি আরও হলে ভাল হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy