Advertisement
E-Paper

স্থান-সঙ্কট হবে না বইমেলায়, দাবি গিল্ড কর্তার

মিলনমেলার বইমেলায় যাঁরা যতটা জায়গা জুড়ে স্টল খুলেছিলেন, এ বার সেন্ট্রাল পার্কেও তাঁদের জন্য ঠিক ততটা জায়গাই বরাদ্দ থাকবে। সোমবার, বছরের প্রথম দিনটিতে বইমেলা তল্লাট ঘুরে এই আশ্বাস দিয়েছেন বইমেলার সংগঠক বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মিলনমেলার বইমেলায় যাঁরা যতটা জায়গা জুড়ে স্টল খুলেছিলেন, এ বার সেন্ট্রাল পার্কেও তাঁদের জন্য ঠিক ততটা জায়গাই বরাদ্দ থাকবে। সোমবার, বছরের প্রথম দিনটিতে বইমেলা তল্লাট ঘুরে এই আশ্বাস দিয়েছেন বইমেলার সংগঠক বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়। ৩০ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর বসবে সেন্ট্রাল পার্কে। সেই মেলায় কোথায় কী স্টল বসবে, তার মানচিত্র তৈরির কাজেই গিল্ড-কর্তারা এ দিন সেখানে গিয়েছিলেন।

গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে এবং ত্রিদিবববাবু এ দিন বইমেলার মাঠ দেখতে যান। তাঁদের দাবি, মিলনমেলার মাঠে মেলার এলাকা ছিল সব মিলিয়ে ১৩ একর। সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা পার্কিং ছাড়া সাড়ে ১২ একর জুড়ে চলবে। ত্রিদিবের কথায়, ‘‘মিলনমেলায় মাঠের মধ্যে বাগান ও কিছু প্রশাসনিক ভবন খানিকটা জায়গা দখল করত। এখানে সে সব ব্যাপার নেই। বরং নগরোন্নয়ন দফতর পার্ক লাগোয়া ঝুপড়ি উচ্ছেদ করায় বইমেলার জন্য বাড়তি আড়াই একর জায়গা মিলেছে।’’ এতেই মেলার মাঠের স্থান সংকুলানের আশঙ্কায় মুশকিল আসান ঘটছে বলে জানাচ্ছেন গিল্ড-কর্তারা। তাঁদের মতে, ‘‘ভিন্‌ রাজ্য বা বিদেশের প্রকাশকদের আগের বারের মতো ‘জায়গা দিতে পারব না’ বলা বিড়ম্বনার। তার থেকে আমরা রেহাই পাচ্ছি।’’ পাশাপাশি, ছোট প্রকাশক বা লিট্‌ল ম্যাগাজিন গোষ্ঠীগুলিকেও বঞ্চনার শিকার হতে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন ত্রিদিববাবু। তিনি বলেন, লিট্‌ল ম্যাগাজিন ও বড়-ছোট প্রকাশক নিয়ে গত বারের মতো ৭৫০ স্টলই থাকবে এ বারের বইমেলায়।

সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে এখন বিধাননগর মেলা চলছে। ওই মেলা সাড়ে সাত একর জুড়ে হয়। পার্কের এলাকা সব মিলিয়ে দশ একরের মতো। নগরোন্নয়ন দফতর কর্তৃক ঝুপড়ি উচ্ছেদের কারণে হাতে আসছে আরও আড়াই একর। এর বাইরে উন্নয়ন ভবনের পিছনে ১০০টি গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত ‘পার্কিং জোন’ পাচ্ছে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা। সেন্ট্রাল পার্কের মাঠের ঝিলে আলোর ‘ডান্সিং ফাউন্টেন’ তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন ত্রিদিববাবু। তিনি বলেন, ‘‘মাঠের গেটের বাইরেও নগরোন্নয়ন দফতর ফোয়ারা বসাবে।’’ সৌন্দর্য, আকর্ষণে মিলনমেলার মাঠের থেকে সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা পিছিয়ে থাকবে না বলে আশাবাদী গিল্ড-কর্তারা।

Book Fair Space Central Park ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy