প্রতি রাতে নিবেদিতা সেতু জুড়ে থাকা লরির জট কাটাতে অবশেষে পদক্ষেপ করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে জানানো হয়, বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিবেদিতা সেতুতে কোনও মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেলে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের মাইতিপাড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে ওই নির্দেশিকা বলবৎ করেন রাজ্যের এডিজি ট্র্যাফিক (২) পীযূষ পাণ্ডে-সহ হাওড়া ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা।
অভিযোগ ছিল, প্রতি সন্ধ্যা থেকে সেতু জুড়ে সার দিয়ে লরি থেকে ট্রেলার পার্কিং শুরু হত। যার জেরে তীব্র যানজটে ফেঁসে নাভিশ্বাস উঠত সাধারণ মানুষের। কুড়ি মিনিটের পথ যেতে সময় লাগত প্রায় এক ঘণ্টা। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা মেটাতে চলতি মাসের মাঝামাঝি রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে পূর্ত দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরে পূর্ত দফতরের কর্তারা বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। পাশাপাশি কয়েকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপার ও ট্র্যাফিক কর্তাদের নিয়েও বৈঠক করেন রাজ্য ট্র্যাফিক দফতরের শীর্ষ কর্তারা। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি জেলা বা কমিশনারেট নিজেদের এলাকায় মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করবে, যাতে রাত ৯টার আগে নিবেদিতা সেতুতে তা আসতে না পারে।
এক কর্তা জানান, ব্যারাকপুর, বিধাননগর এবং কলকাতায় ‘নো এন্ট্রি’ থাকার জন্য অন্যান্য জায়গা থেকে মালবাহী গাড়িগুলি বিকেলে ও সন্ধ্যায় এসে বালির ওই সেতুতে দাঁড়িয়ে পড়ে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৯টার আগে কোনও মালবাহী গাড়িকে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের মাইতিপাড়া ব্রিজ পার করে নিবেদিতা সেতুতে ঢুকতে দেবে না বালির ট্র্যাফিক গার্ড। রাত ৯টার পরেই ব্যারাকপুর, বিধাননগর ও কলকাতার ‘নো-এন্ট্রি’ উঠে যায়। ফলে সেই সময়ে নিবেদিতা সেতু পার করতে পারবে অন্য জেলা থেকে আসা মালবাহী গাড়ি। এর ফলে সেতুতে আর পার্কিংয়ের সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন ট্র্যাফিক কর্তারা।