প্রতীকী চিত্র
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া সুনুকপাহাড়ির হাটে যাওয়ার পথে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর (৬০ নম্বর) জাতীয় সড়কে সোমবার সকালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রাজারহাটের দুই
বাসিন্দার। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
সোমবার সকাল ছ’টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে ওন্দার কালীসেন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটিতে চালক-সহ সাত জন ছিলেন।
মৃত্যুর খবর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছনোর পরে এক মৃতের আত্মীয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বাঁকুড়া থেকে এ দিন রাতে অসুস্থদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলালির একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে ভিআইপি রোড এবং রাজারহাটের দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে নারায়ণপুরে যান বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ব্যবসার কাজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় শাহিদ হুসেন (৩২) এবং মহম্মদ মুকিনের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সুরাবুদ্দিন মণ্ডল (৩৪), মহম্মদ শাহনওয়াজ (৩৮), মহম্মদ মইন (৩২) এবং মহম্মদ মুখতার (৩২)। বাকি এক জনের আঘাত সামান্য। তাঁকে ভর্তি করতে হয়নি।
মহম্মদ মুকিন ও মহম্মদ মুখতারের বাড়ি রাজারহাটের রায়গাছিতে। বাকিদের বাড়ি নারায়ণপুরের পশ্চিম বেড়াবেড়িতে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। মর্মান্তিক ওই ঘটনার খবর পেয়ে রাজারহাটে শাহিদের এক আত্মীয়া সোনি বিবি (৫৪) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজারহাট থেকে ব্যবসার কাজে একটি গাড়িতে চড়ে সুনুকপাহাড়ির হাটে যাচ্ছিলেন সকলে। ওন্দার কালীসেন এলাকায়, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর (৬০ নম্বর) জাতীয় সড়কে গাড়িটির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। পুলিশ সাত জনকেই উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, জখমদের মধ্যে রাজারহাটের নারায়ণপুরের বাসিন্দা শাহিদ হুসেনের (৩৫) মৃত্যু হয় বাঁকুড়া মেডিক্যালে। এ দিন তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। অন্য দিকে, গুরুতর জখম অবস্থায় মহম্মদ মুকিন নামে এক জনকে কলকাতায় রেফার করা হলে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে বাঁকুড়ায় মুকিনের দেহের ময়না-তদন্ত হয়নি। জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘এই দুর্ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হচ্ছে।’’
আহত সুরাবুদ্দিনের এক আত্মীয় মহম্মদ সাহাবুদ্দিন জানান, রবিবার অনেক রাতে একটি গাড়িতে চেপে বাঁকুড়ার দিকে গিয়েছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্তেরা। সোমবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। শাহিদ হাসপাতালে মারা যান। বাঁকুড়া থেকে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় মুকিনের। শাহিদের বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান এবং ছোট দুই ভাই রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy