কার দখলে থাকবে এলাকা? সেন্টু, না গুবলি? তা নিয়েই উত্তেজনা। যা চরমে পৌঁছয় বুধবার মধ্যরাতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত আড়াইটে নাগাদ কাঁকুড়গাছি মিতালি সঙ্ঘের অনতিদূরে ঘোষবাগানে রাস্তার উপরেই বচসা শুরু হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একটি ট্যাক্সি ও গাড়িতে। কয়েক জন আহতও হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন এক মহিলাও। অভিযোগ, কয়েকটি বাড়ির কাচও ভাঙা হয়েছে সংঘর্ষের সময়ে। স্থানীয়দের মধ্যে বিধায়ক সাধন পাণ্ডের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সেন্টু ও গুবলি, দু’জনেই। সাধনবাবু অবশ্য ঘটনাটির কথা শুনে বলেছেন, ‘‘ছোটরা একটু গোলমাল করে ফেলেছে।’’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকা ছিল থমথমে। বুধবার রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। স্থানীয় থানার অফিসারেরাও নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকুড়গাছির ৩১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চলের দুই ‘বাহুবলী’ সেন্টু এবং গুবলি। অভিযোগ, এলাকার সিন্ডিকেট তারাই পরিচালনা করে। এলাকার প্রায় সমস্ত নির্মাণ কাজেই রয়েছে তাদের ‘হিস্সা’।
স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে সেন্টু এবং গুবলির পুরনো বন্ধুত্বে চিড় ধরে শুরু হয় এলাকা দখলের লড়াই। সেই লড়াইয়ের সূত্রেই গত রবিবার স্থানীয় ডাকঘরের উল্টো দিকে নতুন একটি ক্লাব তৈরি করে গুবলি। অভিযোগ, সেন্টু তাকে পুরনো ক্লাবে ঢুকতে দিচ্ছিল না। রবিবার সেই ক্লাবের উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বয়ং সাধনবাবু। যদিও সেন্টুর পক্ষের দাবি, তারাই সাধন পাণ্ডের কাছের লোক। ফলে, রবিবার ক্লাবের উদ্বোধনের পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বচসাও হয়। যা চরমে পৌঁছয় বুধবার রাতে। স্থানীয় বিধায়ক সাধনবাবু জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। দু’পক্ষই যোগাযোগ করেছিল। শান্তি বজায় রাখতে বলেছি। পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।’’ তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইমারতি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই পেশি প্রদর্শন করছে সেন্টু আর গুবলি। তাদের দাপটে এলাকায় থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy