খাটাল উচ্ছেদ নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের দীর্ঘসূত্রিতা রয়েই গেল। ফলে কলকাতা শহর জুড়ে খাটালের রমরমা অব্যাহত।
নিয়মানুযায়ী, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকেই খাটাল উচ্ছেদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হয়। এই দফতর কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার সাহায্য নিয়ে তবেই খাটাল উচ্ছেদ করে। পুলিশ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দারাও সরাসরি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকে জানাতে পারেন। খবর পাওয়ার পরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সংশ্লিষ্ট জায়গায় সমীক্ষা করে। খাটালের মালিককে তা সরানোর নোটিস দেয়। তাতেও কাজ না হলে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর খাটাল উচ্ছেদ করতে পারেন। মধ্য কলকাতার লতিফ স্ট্রিট, হেস্টিংস অঞ্চলের ক্যানাল রোড, লেক গার্ডেন্স, গল্ফ গার্ডেনে খাটালের রমরমা রয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার মাস দেড়েক এই খাটালগুলি রয়েই গেল।
খাটাল তুলতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন? প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের এক আধিকারিক জানান, শহরে কোথায় কোথায় খাটাল রয়েছে, তার জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর পরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর খাটাল মালিককে নোটিস দেবে। তাতে কোনও কাজ না হলে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হবে। খাটাল এখনও উচ্ছেদ হয়নি কেন, তার সদুত্তর মেলেনি।
অন্য দিকে, খিদিরপুরের ক্যানাল রোডে আদি গঙ্গার পাশের খাটালগুলি উচ্ছেদের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আদিগঙ্গার ধারে খাটাল থাকলে গঙ্গার পাড় সংস্কারের ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে। স্থানীয় খাটাল মালিকেরা ইতিমধ্যেই কিছু গরু এবং মোষ সরিয়ে ফেলেছেন বলে সেচ দফতরের দাবি।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) অশোক বিশ্বাস বলেন,“গত মাস দেড়েকে শহরের কয়েকটি খাটাল থেকে কিছু গরু ও মোষ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে খবরে প্রকাশিত শহরের বড় কয়েকটি খাটাল এখনও রয়েছে। উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁদেরকে আমরা তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মালিকদের নোটিস দিতে বলেছি। তাঁরা সেটা দেবেন বলে জানিয়েছেন। কাজ না হলে নির্বাচনের পরে খাটাল উচ্ছেদের ব্যাপারে পুলিশের সহায়তা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।” রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “নির্বাচন হয়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”