Advertisement
E-Paper

খোঁড়াখুঁড়ির কাজে ছিঁড়েছে কেবল, ফোন-নেট বিপর্যস্ত

অধিকাংশ সময়েই সে ‘মৃত’! কখনও-সখনও রিসিভার তুললে শোনা যায় ডায়ালটোন। তবে দিন দুয়েক পরেই আবার নিস্তব্ধতা। বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রঘুনাথপুর, জ্যাংড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িতে-অফিসে গত কয়েক মাস ধরে প্রায়ই ফোন ‘ডেড’ থাকার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, ইন্টারনেট সংযোগও থাকছে না মাঝেমধ্যেই।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১১

অধিকাংশ সময়েই সে ‘মৃত’!

কখনও-সখনও রিসিভার তুললে শোনা যায় ডায়ালটোন। তবে দিন দুয়েক পরেই আবার নিস্তব্ধতা।

বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রঘুনাথপুর, জ্যাংড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িতে-অফিসে গত কয়েক মাস ধরে প্রায়ই ফোন ‘ডেড’ থাকার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, ইন্টারনেট সংযোগও থাকছে না মাঝেমধ্যেই। ফলে এক দিকে যেমন বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই নেট-সমস্যায় বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যাঙ্ক-সহ নানা পরিষেবা। স্থানীয় কেষ্টপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ জানিয়ে দিয়েছে, বাগুইআটির উড়ালপুল নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির জেরে মাটির তলায় ফোনের কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই লাইন বিকল হয়ে যাচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে তবেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

বাগুইআটির বাসিন্দা সীমা দত্ত বলেন, “অধিকাংশ সময়ে ফোন খারাপ থাকলেও ফোন ও ব্রডব্যান্ডের বিল যেমন আসত, নিয়মমাফিক প্রায় সে রকমই আসছে। অথচ মাসে পরিষেবা পাচ্ছি সাত দিন।” বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা চিকিৎসক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার ছেলে-বৌমা বাইরে থাকে। গত চার মাস ধরেই সমস্যা চলছে। এক মাস ধরে টানা ফোন খারাপ। ফলে যোগাযোগে খুবই অসুবিধে হচ্ছে। টেলিফোন এক্সচেঞ্জকে জিজ্ঞেস করলে বলছে, উড়ালপুল তৈরি শেষ না হলে সমস্যা মিটবে না।”

সমস্যায় বিভিন্ন পরিষেবাও। বাগুইআটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের কথায়, “ব্যাঙ্কের ফোন মাঝেমধ্যেই খারাপ থাকে। গ্রাহকদের সবচেয়ে অসুবিধা হয় ইন্টারনেটের লাইন ডাউন থাকলে।” এক গ্রাহক দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “গত মাসে তিন বার পাসবই আপডেট করতে গিয়ে ‘লাইন ডাউন’ থাকায় ফিরে এসেছি।”

ইঞ্জিনিয়ারেরা জানাচ্ছেন, কেষ্টপুর, বাগুইআটি ও জোড়ামন্দিরে তিনটি আন্ডারপাসও তৈরি হচ্ছে। বাগজোলা খালের উপরে তৈরি হচ্ছে দু’টি ছোট সেতু। মূল ভিআইপি রোডের ধারে তৈরি হচ্ছে সার্ভিস রোড। ফলে গত কয়েক মাস ধরে উড়ালপুলের আশপাশে প্রচুর খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়েছে। তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেলিফোন কেব্ল।

প্রশ্ন উঠেছে, সাবধানতা অবলম্বন করলে কি কেব্লগুলিকে বাঁচানো যেত না? নির্মাণকাজ শেষ হতে হতে তো প্রায় এই বছর পেরিয়ে যাবে! তবে কি তত দিন ভুগবেন সাধারণ মানুষ?

কেষ্টপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্তা শ্রীনিবাস রাও অবশ্য বলেন, “উড়ালপুল নির্মাণ শেষ না হলে এই সমস্যার পুরোপুরি মিটবে না ঠিকই, তবে ইতিমধ্যে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে শীঘ্রই ভোগান্তি অনেক কমবে।” উড়ালপুল নির্মাণকারী সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার মলয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কয়েক মাস আগে সমস্যা বেশি ছিল। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য যে সব জায়গার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলো এখন অধিকাংশই ঠিক হয়ে গিয়েছে। ফলে সমস্যা এখন নেই বললেই চলে।”

baguiati aryabhatta khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy