Advertisement
E-Paper

টালবাহানায় থমকে রয়েছে সৌন্দর্যায়ন

ফাঁকা জায়গা। কোথাও গজিয়ে উঠেছে ঘাস। কোথাও রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, রিকশাস্ট্যান্ড অথবা চায়ের স্টল। এ ভাবেই অবহেলায় পড়ে রয়েছে লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নীচের অংশ। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বসিয়ে উদ্যান তৈরির প্রস্তাব ছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভার তরফে এই পরিকল্পনা করা হলেও জমি জটের কারণে সেটি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্ত দফতরের কাছে এই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
প্রস্তাবিত উদ্যানের জায়গায় রয়েছে পার্কিং। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

প্রস্তাবিত উদ্যানের জায়গায় রয়েছে পার্কিং। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

ফাঁকা জায়গা। কোথাও গজিয়ে উঠেছে ঘাস। কোথাও রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, রিকশাস্ট্যান্ড অথবা চায়ের স্টল। এ ভাবেই অবহেলায় পড়ে রয়েছে লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নীচের অংশ। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বসিয়ে উদ্যান তৈরির প্রস্তাব ছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভার তরফে এই পরিকল্পনা করা হলেও জমি জটের কারণে সেটি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্ত দফতরের কাছে এই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “অন্য দফতরের জায়গা। যত ক্ষণ না পর্যন্ত কলকাতা পুরসভাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে, তত ক্ষণ পুরসভা সংশ্লিষ্ট জায়গায় কোনও প্রকল্প করতে পারে না। তাই লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নীচের ওই জায়গায় বাগান করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না।”

উড়ালপুলের নীচের এই জমি পূর্ত দফতরের। পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই উড়ালপুল নির্মাণের সময়ে তারা জমির একাংশ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র থেকে কেনে। বাকি অংশ অধিগ্রহণ করে। বর্তমান পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে ওই ফাঁকা জায়গায় বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মমতা মজুমদার বলেন, “এলাকার সৌন্দর্যায়নে এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিলাম। কারণ রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া এই অংশ ফাঁকা পড়ে নোংরা হচ্ছে। যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে। অন্য দিকে, সরকারি ওই জমি বেদখল হওয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই কারণেই একটি বাগান করার জন্য স্থানীয় বরো কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। পুরসভার উদ্যান বিভাগকেও জানাই। কিন্তু তার পরেই সমস্যা তৈরি হয়।

কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত জানান, এই উদ্যানের ব্যাপারে পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় প্রকল্প রূপায়ণ করতে পারছি না।

পূর্ত দফতরের বক্তব্য, সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে ওই জায়গা পুরসভাকে যাতে হস্তান্তর করা হয় সেই ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

kaushik ghosh kolkata municipal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy