বৃষ্টির জল যাতে দ্রুত খালে যেতে পারে তাই শহরের নানা খালপাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার কাজ করছে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সেচ দফতর। ফলে আসন্ন বর্ষায় জল জমার সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে বলে দাবি কলকাতা পুরসভার।
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার অধীন চেতলা বোট ক্যানালের পাড় বাঁধানোর কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সেচ দফতরের অধীন আদি গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজও। ‘ন্যাশনাল রিভার গঙ্গা বেসিন অথরিটি’-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে খালপাড় বাঁধালে জল জমার আশঙ্কা কমে। কারণ, বৃষ্টির সময়ে জল সহজে খালে যেতে পারে। এর পরেই তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং সেচ দফতর। এই দুই দফতরের আধিকারিকদের আশা, এই বছর বর্ষায় খাল সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে জল জমা সমস্যার অনেকটাই সুরাহা করা সম্ভব হবে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা পুরসভার অধীন চেতলা বোট ক্যানেলে পাড় বাঁধানো চলেছে। কয়েকটি খালে কাজ করছে সেচ দফতর। এই প্রকল্পে নিকাশির উন্নতির পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যায়নও হবে।” কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল রিভার গঙ্গা বেসিন অথরিটি’ গঙ্গা এবং আদিগঙ্গা-সহ আশপাশের কয়েকটি খালের সমীক্ষা করার পরে এই খালগুলির পাড় বাঁধানোর কথা বলে। কলকাতা পুরসভা চেতলা বোট ক্যানালে এই কাজ শুরু করে। খিদিরপুর এলাকার বৃষ্টির জল এই খালের মাধ্যমে টালি নালা বা আদিগঙ্গায় গিয়ে পড়ে।
পুরসভার নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বোট ক্যানালের ধারের জায়গাগুলি মূলত অসমতল। ফলে, বৃষ্টির জল দ্রুত খালে পড়তে অসুবিধা হয়। খালের দু’ধার সমতল হলে জল দ্রুত খালে যেতে পারে। তাই পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেই কাজ পুরসভা প্রায় শেষ করে এনেছে।”
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, চেতলা বোট ক্যানালের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পাড়ের সবটাই সংস্কার করা হয়েছে।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, আদিগঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে।
প্রশ্ন উঠেছে, খালের পলি এবং খালপাড়ের বসতি না তুলে এই কাজ কতটা সফল হবে? কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ জানান, খাল সংস্কারের সঙ্গে পলি তোলারও কাজ হয়েছে। ফলে খালের নাব্যতা বেড়েছে। তবে পুর-কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন খালপাড়ের বসতি তুলে দিলেও কয়েকটি জায়গায় ফের বসতি গড়ে উঠছে। তাই পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ এবং পুর-আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।