Advertisement
E-Paper

ফুটপাথ জুড়ে ব্যবসা, হাঁটাই দায়

লর্ডসের মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এক পাশের ফুটপাথের ধারে সার দিয়ে খাবারের দোকান। চলে বেঞ্চ পেতে খাওয়াদাওয়া। দোকানের বর্জ্য ফুটপাথেই পড়ে থাকে। ফলে এ ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। অনেক সময় পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:২২
লর্ডসের মোড়ে ফুটপাথ জুড়ে দোকান। পথচারীদের হাঁটতেই সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।

লর্ডসের মোড়ে ফুটপাথ জুড়ে দোকান। পথচারীদের হাঁটতেই সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।

লর্ডসের মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এক পাশের ফুটপাথের ধারে সার দিয়ে খাবারের দোকান। চলে বেঞ্চ পেতে খাওয়াদাওয়া। দোকানের বর্জ্য ফুটপাথেই পড়ে থাকে। ফলে এ ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। অনেক সময় পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়।

এই রাস্তার কার্ভ চ্যানেলটিরও ভঙ্গুর অবস্থা। রাস্তার ধারে বেশ কিছু গর্তও তৈরি হয়েছে। অনেক সময় দোকানের বর্জ্য জল সেখানে এসে জমে। ফুটপাথে উঠতে গেলে সেই জল মাড়িয়ে যেতে হয়। এ ভাবে যেতে গিয়ে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা পথচারীদের। শুধু জল নয়, খাবারের বর্জ্যও ফুটপাথের পাশেই জড়ো করা থাকে বলে অভিযোগ পথচারী ও বাসিন্দাদের। ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়ায় মাঝেমধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়।

এ ফুটপাথে চলতে গিয়ে পথচারীরা পড়েও গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আশি বছরের জনার্দন বাগচী বলেন, “এই ফুটপাথে হাঁটাই দায়। পড়ে গিয়ে এক বার আমার পা ভেঙেছিল।”

সম্প্রতি, এলাকার বাসিন্দারা কলকাতা পুরসভার কাছে ফুটপাথের এই অবস্থার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরসভা থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। স্থানীয় দোকানদারদের একাংশ জানান, দোকানগুলি ফুটপাথ

ছেড়েই তৈরি হয়েছে। কিন্তু ছোট দোকানগুলির মধ্যে বসে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই ফুটপাথের একাংশে ছোট কাঠের বেঞ্চ পেতে ক্রেতাদের বসতে দেওয়া হয়। ক্রেতারা চলে গেলে বেঞ্চ তুলে রাখা হয়। তবে, নিকাশির ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ধারেই বর্জ্য জল ফেলে দেওয়া হয়। ফুটপাথের এক ধারেই চলে বাসন ধোওয়ার কাজ।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে রাস্তা পরিষ্কার রাখতে পুরসভা নোটিস জারি করেছিল। এর পরেও কোনও ব্যবস্থা না নিলে পুর-কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই অভিযান চালাবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানান।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “দোকানের মধ্যে পুরসভার অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করলে কোনও আপত্তি থাকতে পারে না। তবে, ব্যবসার জন্য রাস্তা আটকালে বা নোংরা হলে পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। আমরা ওখানে গত বছর অভিযান চালিয়েছিলাম। তার ফলে কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ব্যবস্থা নেব।”

kaushik ghosh lords street
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy