Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রেলের জমিতে অবাধে চলছে কাগজের ব্যবসা

জমির মালিক রেল। সেখানেই কাগজের অস্থায়ী গুদাম। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসাও চলছে। এই ছবি উত্তর কলকাতার চাঁপাতলা ঘাটের কাছে চক্ররেলের লাইনের পাশে। যদিও পূর্ব রেল তরফে জানানো হয়েছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।

এ ভাবেই পড়ে থাকে কাগজ বোঝাই বস্তা।  ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

এ ভাবেই পড়ে থাকে কাগজ বোঝাই বস্তা। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৪ ০৩:১৮
Share: Save:

জমির মালিক রেল। সেখানেই কাগজের অস্থায়ী গুদাম। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসাও চলছে। এই ছবি উত্তর কলকাতার চাঁপাতলা ঘাটের কাছে চক্ররেলের লাইনের পাশে। যদিও পূর্ব রেল তরফে জানানো হয়েছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।

চাঁপাতলা ঘাটের কাছে সার দিয়ে কাগজ বোঝাই ছোট ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রাক থেকে কাগজ রেললাইনের ধারে নামিয়ে রাখা হয়। এখান থেকে কাগজ অন্যত্র পাঠানো হয়। গুদামের এক কর্মী বলেন, “ফেরিওয়ালা বা হকাররা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাগজ সংগ্রহ করে এখানে এসে বিক্রি করেন। আমরা সেগুলি লাইনের পাশেই রাখি। এখান থেকে ট্রাকে কাগজ পাঠানো হয় হাওড়ার বাগনান-সহ বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্যের বাইরেও কাগজ পাঠানো হয়।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, রেলের জমির উপরে কাগজ থাকছে। লাইনের উপরে তো থাকছে না! তাই অনুমতিরও প্রয়োজন নেই বলে তাঁর মত। কিন্তু রেল সূত্রে খবর, রেললাইন এবং তার পাশে রেলের অনুমতি ছাড়া এ ভাবে কিছু করা যায় না। এক কর্মচারীর কথায়: “এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কয়েকশো পরিবার। কাছেপিঠে ব্যবসার অন্য কোনও জায়গা নেই। তা ছাড়া কারও ক্ষতি তো হচ্ছে না! এখনও কোনও বাধা আসেনি।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রেলের সম্পত্তিতে ব্যবসা করা যায় না। এ ছাড়াও ওই জায়গাটি সব সময়েই নোংরা হয়ে থাকে।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “রেলের জায়গায় কেউ এ ভাবে কোনও অস্থায়ী গুদাম তৈরি করতে পারে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। রেল যথাযথ পদক্ষেপ করবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

business of paper supriyo tarafder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE