চিঠি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। —ফাইল ছবি।
চিঠি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সোমবার তাঁর মামলাটির শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। কুন্তলের এই মামলাটি শুনবে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে কুন্তলের চিঠি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর সেখানে স্থগিতাদেশ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সোমবার সেটিরও শুনানি রয়েছে।
অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি— এই অভিযোগ তুলে গত ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দেন কুন্তল। পরের দিন ওই চিঠি যায় হেস্টিংস থানায়। তদন্ত প্রভাবিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কুন্তল, এই পাল্টা দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ ইডি। গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান, ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে কুন্তল এবং অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। এমনকি অভিষেকের শহিদ মিনারের সভার বক্তব্যও তদন্তের বাইরে রাখা উচিত নয়। পর্যবেক্ষণের এই অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়ে যান অভিষেক। এ বার কুন্তলও সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া হেস্টিংস থানা কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকি উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের কোনও থানা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে না। হাই কোর্টের ১৩ এপ্রিলের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান কুন্তল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy