Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গুরুং, রোশনের 

সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৭-এর অক্টোবরে আদালত গুরুং ও রোশনকে ‘প্রোক্লেমড অফেন্ডার’ বলে ঘোষণা করে। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ইউএপিএ মামলা ঝুলে রয়েছে। মদন তামাং হত্যাকাণ্ড থেকে আরও কিছু খুন-দাঙ্গার মামলা আদালতে বিচারাধীন।

ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা পড়েছে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির।

ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা পড়েছে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪১
Share: Save:

ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা পড়েছে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির। দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি মেনে ওঁদের ‘প্রোক্লেমড অফেন্ডার’ ঘোষণা করেছে আদালত। তার পরেই নাম কাটা গিয়েছে।’’

এর ফলে গুরুং বা রোশন এখন পাহাড়ে ফিরলেও তাঁদের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা কম। যদি নির্বাচন কমিশন বিশেষ নির্দেশ দিয়ে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে বলে, তবেই তাঁদের পক্ষে ভোটে লড়া সম্ভব হবে।

সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৭-এর অক্টোবরে আদালত গুরুং ও রোশনকে ‘প্রোক্লেমড অফেন্ডার’ বলে ঘোষণা করে। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ইউএপিএ মামলা ঝুলে রয়েছে। মদন তামাং হত্যাকাণ্ড থেকে আরও কিছু খুন-দাঙ্গার মামলা আদালতে বিচারাধীন। বেশ কয়েকটি মামলায় গুরুং এবং রোশনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তার পরেও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুরুংয়ের বাড়ি সিলও করে দিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: অর্জুনের লক্ষ্য ‘বিজেপি’, ‘মুক্তি’ দিলেন নেত্রী

জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের জন্য যখন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন চলছিল, তখন গুরুং ও রোশনকে নির্দিষ্ট দিনে কমিশনের সামনে হাজিরা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল। তাঁরা আসেননি। ফলে নাম কাটা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। ২০১৮-র শেষে যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখান থেকেই গুরুং এবং রোশনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তাঁদের শুধু কি এঁদের দু’জনের নামই কাটা গিয়েছে?

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আপাতত দু’জনের নামই কাটা গিয়েছে। তবে আরও ১০-১২ জন একই ধরনের অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের নামও কেটে দেওয়া হবে। যাঁদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে কমিশন। যাঁদের এখনও ধরা যায়নি, তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিতে বলেছে কমিশন। যদিও দার্জিলিঙে তা এখন কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুন: মিমিরা ভোটে! বিকৃতির উল্লাস নেট-দুনিয়ায়

পুলিশ সূত্রের খবর, দার্জিলিঙে গোলমালের সময় গুরুং-ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেই মামলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে। গুরুংয়ের অনুগামীরা অনেকেই তখন গ্রেফতার হন। অনেকে ভোল বদলে বিনয় তামাং শিবিরে নাম লেখান। পুলিশও আর তাঁদের ছুঁয়ে দেখেনি। কিন্তু পুরনো সেই গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলি রয়ে গিয়েছে। কমিশন এখন তাদের গ্রেফতার করতে এবং না-পেলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে বলেছে। তাতে উভয় সঙ্কটে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গুরুং ও রোশন অবশ্য যে কোনও উপায়ে পাহাড়ে ফিরতে চাইছেন। পুলিশের কাছে খবর, দু’জনেই এখন কাঠমান্ডুতে রয়েছেন। জেলা পুলিশের বক্তব্য, দেশের কোনও আদালত গুরংদের পাহাড়ে ফেরার নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু তাতে ঘোষিত পলাতক অপরাধীর তকমা মুছবে কি উপায়ে, সেটাই প্রশ্ন।, কারণ, আদালত সেই নির্দেশ জারি করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bimal Gurung Roshan Giri Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE