আস্তানা এক। মজুরেরাও অভিন্ন। সময়বিশেষে শুধু বদলে যায় পণ্য! উৎসবে যদি হয় আতসবাজি, ভোটের সময় তেমনই বোমা! এবং সেই বোমা এবং বাজি তৈরির ব্যাপারটা দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় কুটির শিল্পের চেহারা নিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ গোয়েন্দাদের একাংশের।
কলকাতায় হাজার কিলোগ্রাম বিস্ফোরক পাচারের তদন্তে নেমে জেলায় জেলায় বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরির কথাই উঠে আসছে গোয়েন্দাদের কাছে। রবিবার সেই সন্দেহকে জোরালো করেছে দক্ষিণ শহরতলির বলরামপুরের একটি ঘটনা। পুলিশের দাবি, বলরামপুরে একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে দু’জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ওই এলাকায় বেআইনি শব্দবাজির একাধিক কারখানা রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীদের হাতবোমা তৈরির জন্য মজুত করা মশলাতেই বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশি সূত্রের দাবি, নজরদারদের এড়াতে ভিন্ রাজ্যের দোকান থেকে বিস্ফোরক কেনা হচ্ছে। নিয়ম মেনে বৈধ দোকান থেকে বিস্ফোরক কিনতে হলে নথি প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতে পটাশিয়াম নাইট্রেট এসেছিল ওড়িশার বালেশ্বরের রূপসা শহরের ‘সাই ট্রেডার্স’ নামে একটি বৈধ দোকান থেকে। ওই দোকানের মালিকেরা ২০১১ সালে লাইসেন্স পেয়েছিলেন। সেই বৈধ দোকানের অবৈধ লেনদেনে মধ্যস্থতা করেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা। রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁকে ধরতে পারেনি কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ওই দোকান থেকে আগেও বিস্ফোরক রাসায়নিক কিনে এ রাজ্যে পাচার করা হয়েছে।