Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
BJP MLA

Mamata Banerjee: মুকুল বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি থেকে আসা বিশ্বজিৎকে বিধায়ক পদ ছাড়তে পরামর্শ মমতার

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎকে পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে। উপনির্বাচনে তাঁকে আবারও বাগদা আসনে প্রার্থী করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, বাগদার মানুষের জনসমর্থন পেতে বিশ্বজিতের অসুবিধা হবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ইস্তফার কোনও পরামর্শ দেননি বলেই দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ।

বিশ্বজিৎ দাসকে পদত্যাগের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বিশ্বজিৎ দাসকে পদত্যাগের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২ ২০:৩৪
Share: Save:

বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে পদত্যাগের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ। সন্ধ্যার দিকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ছেডে় বেরোনোর সময় আচমকাই তাঁর সামনে পড়ে যান বাগদার বিধায়ক। সেখানে তখন হাজির ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক তথা তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক। সেখানেই বনগাঁর রাজনীতি তথা পুরসভা নিয়ে বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনগাঁর রাজনীতি নিয়ে কথা শেষ করেই তৃণমূলনেত্রী বিশ্বজিৎকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন বলেই খবর।

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎকে পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে। উপনির্বাচনে তাঁকে আবারও বাগদা আসনে প্রার্থী করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, বাগদার মানুষের জনসমর্থন পেতে বিশ্বজিতের অসুবিধা হবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ইস্তফার কোনও পরামর্শ দেননি বলেই দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘বনগাঁর চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তা ছা়ডা বিধানসভা অধিবেশনের পর তিনি আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। কখনওই তিনি আমাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেননি।’’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন বিশ্বজিৎ। সেই সময় তিনি ছিলেন বনগাঁ উত্তররের বিধায়ক। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে গোলমাল শুরু হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধের কথা প্রকাশ্যে আসত। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসেন বিশ্বজিৎ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিংহ। তিনিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে নাম লিখিয়েছিলেন।

সেই সময় বিশ্বজিৎ-সুনীলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ বিধানসভা ভোটে বিশ্বজিতের কেন্দ্র বদল করে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। বনগাঁ উত্তরের বদলে তাঁকে বাগদার টিকিট দেওয়া হয়। রাজ্যে বিজেপি-র ভরাডুবি হলেও, বাগদায় জেতেন বিশ্বজিৎ। তারপর থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। গত বছর ৩১ অগস্ট কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরেই বিশ্বজিতের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বজিৎ যদি তৃণমূল নেত্রীর পরামর্শ মেনে ইস্তফা দেন, তাহলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সৌমেন রায়ের মতো তৃণমূলে যাওয়া বাকি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে কী অবস্থান নেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP MLA Mamata Banerjee TMC Biswajit Das
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE