ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের পরে এ বার সর্ব ভারতীয় স্তরেও জোট রাজনীতির রাশ কড়া হাতে ধরতে উদ্যোগী তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার দুপুরে ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার সময় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিরোধী আঞ্চলিক দলের নেতাদের শুভেচ্ছা, টুইট-বার্তা এবং ফোন কল এসেছে তৃণমূল নেত্রীর কাছে। আজ, সোমবার প্রত্যেককে টুইটে উত্তর দিয়েছেন মমতা। বিরোধী নেতাদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘এক সঙ্গে দেশের সংবিধান রক্ষা এবং দেশবাসীর কল্যাণের জন্য লড়াই করতে হবে।’
তবে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের কয়েক জন নেতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা-বার্তা এলেও (এবং বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর কাছ থেকেও) কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এখনও পর্যন্ত নীরব। অন্য দিকে, ভবানীপুর জয়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেসের প্রতি তোপ দেগে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি-বিরোধিতা থেকে সরে এসে অহর্নিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করে গিয়েছে কংগ্রেস এবং বামেরা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে কংগ্রেসের সেই ‘তাঁবেদারি’ ভাল ভাবে নেননি, তা ভোটের ফলে প্রমাণিত। রাজ্য কংগ্রেস অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে, ভোট প্রচারে আগাগোড়া তাদের আক্রমণ করে গিয়েছে তৃণমূলও।
গতকাল এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ভবানীপুরের ফলাফল প্রকাশের পরে শুভেচ্ছা জানান মমতাকে। মমতা জবাবে লিখেছেন, “পওয়ারজি, আপনার শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মানুষের কল্যাণের জন্য এক সঙ্গে কাজ করার দিকে তাকিয়ে রয়েছি।” ডিএমকে-র কানিমোঝি এবং স্টালিন দু’জনেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতাকে। কানিমোঝি তাঁর নিজের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর একটি ছবি পোস্ট করে টুইট করেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের আসনটি ধরে রাখলেন না, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির আশাকেও উজ্জ্বল করলেন।’ জবাবে মমতা বলেছেন, ‘আমরা এক সঙ্গে সর্বদা সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার জন্য চেষ্টা করে যাব।’ স্টালিনের শুভেচ্ছার উত্তরে মমতা লিখেছেন, ‘ভবানীপুর এবং বাংলার প্রত্যেক মানুষের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিপুল জয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয়কে তুলে ধরেছে।’ মমতার উত্তর, ‘আপনার এই শব্দগুলি দেশের পবিত্রতা রক্ষার লড়াইয়ে আমাকে শক্তি দিচ্ছে।’