প্রতি ভোরে বাড়ির উঠোনে জাতীয় পতাকা তোলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি। তারপর বেরিয়ে পড়েন দিনমজুরির কাজে। হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরে বিকেলে বাড়ি ফেরা।
দু’বছর ধরে এটাই ‘রুটিন’ সাগরের সূর্যবিন্দা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ ঘোড়াইয়ের। কবে দিন পাল্টাবে জানেন না। স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগে। জঙ্গিদের গুলি-গ্রেনেড কেড়ে নিয়েছে উরির সেনা ছাউনিতে থাকা তাঁর ছোট ছেলে বিশ্বজিতের প্রাণ। রাজ্যের দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং সেনাবাহিনী থেকে বিশ্বজিতের পাওনাগণ্ডা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি বলে ক্ষোভ রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু পুলওয়ামায় জঙ্গি-হানার কথা জানার পরে সেই ক্ষোভ সরিয়ে রাগে ফেটে পড়ে ঘোড়াই পরিবার।
বিশ্বজিতের মা রেখাদেবী বলেন, ‘‘আমার মতো আবার কত মায়ের কোল খালি করল জঙ্গিরা। এর বিহিত চাই।’’ তাঁর বড় ছেলে রণজিৎ বলেন, ‘‘কোনও দয়া না-দেখিয়ে কেন্দ্রের উচিত জঙ্গিদের কড়া জবাব দেওয়া।’’