Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কেশপুর নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেবকে কটাক্ষ মানসের

চড়া রোদে আর রোড-শো না করে দলীয় নেতৃত্ব পথসভার ব্যবস্থা করেছিল। প্রত্যাশা মতো তারকা-প্রার্থীকে দেখতে সেখানেও উপছে পড়ল ভিড়। শুক্রবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের সভা ছিল ডেবরা উত্তর অংশের বাকি থেকে যাওয়া ৭টি অঞ্চলে। ঘুরে ঘুরে এলাকাগুলিতে সভা করেন দেব। প্রতিপক্ষ মানস ভুঁইয়াও এ দিন রোড-শোয়ের মাধ্যমে পাল্টা প্রচার করেন।

ডেবরায় কর্মিসভায় দেব (বাঁ দিকে), রোড-শোয়ে মানস ভুঁইয়া। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

ডেবরায় কর্মিসভায় দেব (বাঁ দিকে), রোড-শোয়ে মানস ভুঁইয়া। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

দেবমাল্য বাগচি
ডেবরা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৩
Share: Save:

চড়া রোদে আর রোড-শো না করে দলীয় নেতৃত্ব পথসভার ব্যবস্থা করেছিল। প্রত্যাশা মতো তারকা-প্রার্থীকে দেখতে সেখানেও উপছে পড়ল ভিড়। শুক্রবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের সভা ছিল ডেবরা উত্তর অংশের বাকি থেকে যাওয়া ৭টি অঞ্চলে। ঘুরে ঘুরে এলাকাগুলিতে সভা করেন দেব। প্রতিপক্ষ মানস ভুঁইয়াও এ দিন রোড-শোয়ের মাধ্যমে পাল্টা প্রচার করেন।

এ বারে নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্রে কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই জমে উঠেছে ভোটযুদ্ধ। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়াতে নারাজ কংগ্রেস-তৃণমূল। ৯ এপ্রিল ডেবরার দক্ষিণ অংশে দেবের রোড-শোর পরদিনই ডেবরার উত্তর অংশে রোড-শো করেছিলেন মানসবাবু। তবে প্রচারে ‘ফাঁক’ না-রাখতে পনেরো দিনের মাথায় এ দিন ফের ডেবরা উত্তর অংশে প্রচারে এসে সভা করলেন দেব। আবার এ দিনই দক্ষিণ অংশে রোড-শো করলেন মানস ভুঁইয়া।

এ দিন সকালে ডেবরার লোয়াদায় প্রথম সভা করেন দেব। ওই সভায় কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে নয়, রাজনীতিতে নবীন এই প্রার্থী নিজের সমর্থনে ভোট প্রার্থনার ব্যাখ্যায় বিগত দিনের কাজের তুলনায় ভাল কাজ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সেখান থেকে গোলগ্রামে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে যান লোয়াদা সেতু দেখে। সেতু চালু না করতে পারার কারণগুলি জেনে নেন স্থানীয় নেতাদের থেকে। গোলগ্রামের সভায় গিয়ে ওই সেতু দ্রুত চালু করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। পরের সভা ছিল ত্রিলোচনপুরে। সেখানেও এলাকাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে বিকেলে আকালপৌষ, বৌলাসিনী, মারোতলা, পাঁচগেরিয়া হয়ে ডেবরা বাজারে সভা শেষ করেন।

ঘাটালের অন্যতম প্রার্থী মানস ভুঁইয়াও এ দিন প্রচারে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেসের মনোনীত পরিদর্শক মণিশঙ্কর প্রমুখ। এ দিন জলিবান্দা থেকে শুরু করে শ্যামচক, ডুঁয়া, রাধামোহনপুর, আষাড়ি, খাসবাজার হয়ে সন্ধ্যায় ডিঙ্গলে শেষ হয় তাঁর রোড-শো। এর মাঝেই সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। বৃহস্পতিবার কেশপুরের শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন দেব। এর প্রেক্ষিতে মানসবাবুর কটাক্ষ, “কেশপুরের শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে গেলে প্রার্থীর দলের অনেককেই তৃণমূল থেকে বের করে দিতে হবে!” তিনি বলেন, “সিপিএমের সময়ে কেশপুরে অনেকে খুন হয়েছিলেন। গত আড়াই বছরেও চারবার কেশপুরে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। এ কথা কী তৃণমূল প্রার্থী জানেন?” এ দিন প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় অনুমোদিত বেশ কয়েক’টি রাস্তার ভবিষ্যত নিয়ে মানসবাবু রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

keshpur dev debmalya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE