গত চার মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কোনও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। শূন্য পড়ে রয়েছে জেলার ৪৫টি চক্রের মধ্যে ১০টি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদও। এক জন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে একাধিক চক্রের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকার ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রয়োজনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোনের আবেদন করলেও তা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে।”
জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫টি চক্র রয়েছে। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩২৫২টি। ওই স্কুলগুলিতে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ১২ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। কয়েকদিন আগে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মানস দাস। গত এপ্রিল মাসে পূর্বতন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীনবন্ধু নন্দীগ্রামী অবসর নিয়েছেন। তারপর থেকে নতুন কেউ ওই পদে আসেননি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) নিজের দফতরের কাজে বেশি ব্যস্ত থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদশর্কের কাজ নিয়মিত হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের কথায়, “জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোনের আবেদন করে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
অরূপবাবু অভিযোগ করেন, “জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাড়াও জেলার ১০টি চক্রে কোনও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শ্লথ হয়ে পড়েছে পেনশন সংক্রান্ত কাজও।” তাঁর আর অভিযোগ, “গত জানুয়ারি মাসে ৫২৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেন। তবে নবনিযুক্ত ৫২৬ জনের মধ্যে ২১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার এখনও বেতনই চালু হয়নি।” তিনি জানান, গত ১৮ জুলাই জেলাশাসক অন্তরা আচার্যের কাছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। তবে তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy