খড়্গপুরে কো-অর্ডিনেশনের সভা।—নিজস্ব চিত্র।
রেলশহরের বোগদায় ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকে এক সভায় মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বাসুদেব আচারিয়া। সভা শেষে রেলের ঠিকা শ্রমিকদের সম কাজে সম বেতন চালু, ঠিকাদার বদল হলেও শ্রমিক ছাঁটাই রোধ, প্রতিমাসে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতন চালু করা-সহ দশ দফা দাবিতে খড়্গপুরের ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যে বর্তমান শিল্প পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দুষে বাসুদেববাবু বলেন, “গত তিন বছর রাজ্যে একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। রাজ্যে একটাও শিল্প আসছে না। রাজ্য সরকার শুধু শিল্প সম্মেলন করছেন। আর পশ্চিমবঙ্গ শিল্পের মরুভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুরে শিল্প সম্মেলনে যাওয়া নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “মুম্বইয়ে তো মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। আদানি ও অম্বানিকে পাশে বসিয়ে তিনি বৈঠকও করলেন। ফিকির সাধারণ সম্পাদককে অর্থমন্ত্রী করলেন। তারপরে তাঁকে শিল্প করার দায়িত্বও দিলেন। কিন্তু সরকার কটা শিল্প কারখানা আনতে পেরেছে। তাই সিঙ্গাপুরে গিয়ে কী হবে? রাজ্যের জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ ছাড়া কিছুই হবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, “জামুড়িয়ায় যে ইস্পাত কারখানায় অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল, সেখানে তাঁদের ওপর চাপ দিয়ে তোলা আদায় করা হচ্ছে। রাজ্যে তোলাবাজিই এখন একটা শিল্প।”
বাসুদেববাবুর অভিযোগ, “কোনও শিল্পপতি রাজ্য সরকারের উপর ভরসা করতে পারছে না। কারণ রাজ্যের ন্যানো কারখানাকে যিনি তাড়িয়েছেন, কেমিক্যাল হাব করতে দেননি তাঁকে কীভাবে সবাই ভরসা করবেন।” রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলির কাজ থমকে থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ডানকুনি বাদ দিয়ে রাজ্যে একটাও রেলের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে না।” কেন্দ্রের মোদী সরকারের বাজেটেরও সমালোচনা করেন তিনি। এ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন সিটুর জেলা সভাপতি কালি নায়েক, রেল ঠিকাদার শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শ্রীহরণ আচার্য, জেলা সম্পাদক গোপাল দে, শহর সিপিএমের জোনাল সম্পাদক মিহির পাহাড়ি, নেতা অনিল দাস প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy