জঙ্গলমহলের জেলা পুরুলিয়ায় ছাত্রভোটে সাফল্য পেয়েছে এবিভিপি। অথচ পশ্চিম মেদিনীপুরে দাগই কাটতে পারল না বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন। যেখানে রাজ্য জুড়ে বিজেপি-র উত্থান হচ্ছে, সেখানে কেন এই ছবি— তার উত্তর খুঁজতে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে এবিভিপি-র অন্দরে। দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় বৈঠকেও বসতে চলেছে এবিভিপি। সেখানে থাকার কথা সংগঠনের কলেজ ইউনিটগুলোর সভাপতিদের।
শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না। ইউনিট গড়ে না গড়েই গোপীবল্লভপুর, গোয়ালতোড়, নয়াগ্রামের মতো কলেজে বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী দিয়ে টিএমসিপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল এবিভিপি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মাঠে নামেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কোমর বাঁধেন টিএমসিপি-র জেলা নেতৃত্বও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরিকে বারবার ছুটতে হয় গোয়ালতোড়, গোপীবল্লভপুরে। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে হয়। বলতে হয়, সব কিছু হালকা ভাবে নেওয়া ঠিক হবে না।
এবিভিপি সূত্রে খবর, সদ্য সমাপ্ত কলেজ ভোটে গোপীবল্লভপুরে ১৭টি আসনে, গোয়ালতোড়ে ১৫টি, কমার্স কলেজে ১০টি, খড়্গপুরে ৯টি, হিজলিতে ৮টি, নয়াগ্রামে ৫টি, বেলদা কলেজে ৬টি আসনে তাদের প্রার্থী ছিল। তারপরেও কেন শূন্য হাতে ফিরতে হল? এবিভিপি-র জেলা নেতৃত্বের একাংশ মানছেন, সর্বত্র মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই দেওয়া যায়নি। বিজেপির ছাত্র সংগঠনের এক জেলা নেতার ব্যাখ্যা, টিএমসিপির বিরুদ্ধে লড়তে হলে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেই লড়াই করতে হবে। আক্রমণ হবে। তবে প্রতিরোধ না করে তৃণমূলের ভয়ে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে আসা চলবে না। পালিয়ে এলে ছাত্র-সমর্থনকে ভোটবাক্সে বন্দি করা যায় না। বেশির ভাগ কলেজে তাই হয়েছে।