শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি হয়েও কোনও কাজ করতে পারছেন না। রাজ্য নেতৃত্বকে বিস্তারিত জানিয়েও ফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন ওয়েবকুপার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি তুহিনকান্তি দাস। ইতিমধ্যেই তিনি ইস্তফার কথা এসএমএস মারফত সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে দিয়েছেন। বেলদা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক তুহিনকান্তিবাবু এক বছরেরও বেশি সময় এই পদে রয়েছেন।
হঠাত্ ইস্তফার ভাবনা কেন? তা-ও এসএমএসে? তুহিনবাবুর কথায়, “সংগঠনের পদে রয়েছি, অথচ কোনও কাজই করতে পারছি না। তা হলে থেকে কী লাভ! তাই আপাতত এসএমএস পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে লিখিত ভাবে জানাব।” সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ সাধুখাঁ বলেন, “এ ব্যাপারে ফোনে কথা হয়েছে। লিখিত ভাবে জানানোর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
শাসকদলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের আহ্বায়ক ইন্দ্রাণী দত্ত চৌধুরী। তুহিনবাবুর ইস্তফার সিদ্ধান্ত চাউর হতে জেলায় শোরগোল পড়েছে। কেন একটি জেলা থেকে বারবার সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা পদত্যাগ করছেন, উঠছে সে প্রশ্নও। ইতিমধ্যেই ইন্দ্রাণীদেবী বিজেপিতে গিয়েছেন। ফলে তাঁর ঘনিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক যে সে পথেই এগোবেন তা বলাবাহুল্য। তুহিনকান্তিবাবু কোন পথে এগোবেন এখনই সে সিদ্ধান্ত নেননি। ইন্দ্রাণী দত্ত চৌধুরী সংগঠনের পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ‘ভুটা’তে সব আসনে প্রার্থী পর্যন্ত দিতে পারেনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন। তার উপরে তুহিনকান্তিবাবুর ইস্তফা জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক সংগঠনকেও ধাক্কা দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।