গুলিতে জখম হলেন এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, তোলাবাজদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। বুধবার রাতে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুর বাজারের এই ঘটনায় জখম শেখ সাদ্দাম নামে বছর চব্বিশের ওই যুবককে প্রথমে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার পরই সাদ্দামের বাবা শেখ রুকুদ্দিন পুলিশের কাছে দশজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাঁথি থানার আইসি সুবীর রায় জানান, “পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “মুকুন্দপুর বাজারে বুধবার রাতের গুলি চালনার ঘটনায় জড়িতরা সকলেই সমাজবিরোধী।” তবে তৃণমূলের সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীদের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দামের বাবা প্রতিবন্ধী শেখ রুকুদ্দিনের মুকুন্দপুর বাজারে মাংসের দোকান রয়েছে। আর সাদ্দাম নিজে একটি গাড়ি কিনে তা ভাড়া খাটায়। রুকুদ্দিন জানান, বুধবার রাত নটা নাগাদ মুকুন্দপুর বাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে চৌধুরীবাড়ের বাড়ি থেকে নমাজ পড়ার জন্য বেরোচ্ছিলেন সাদ্দাম। সেই সময় মুকুন্দপুর বাজারের বাবলা দে, মিঠু দাস, চন্দন মাইতি নামে কয়েকজন যুবক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই যুবকেরা এলাকায় তোলাবাজ হিসেবেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, সাদ্দামকে তারা নিজেদের ডেরা যাত্রাদলের বুকিং অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি চলার পর রাত দেড়টা নাগাদ তারা সাদ্দামকে গুলি করে। গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে খবর পৌঁছায় সাদ্দামের বাড়িতেও। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সাদ্দাম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে।