‘নমস্কার মাসিমা, একটু গল্প করতে এলাম। আপনার সময় হবে তো? বৌমারা বাড়িতে আছেন নিশ্চয়, ওদেরও ডেকে দিন।’
চৈত্রের বিকেলে দরজা খুলে জনা আষ্টেক মহিলার এমন আবদারে কিছুটা থমকে গেলেন ঝাড়গ্রাম শহরের প্রৌঢ়া-গৃহকর্ত্রী আলপনা পাল। ততক্ষণে প্রমীলা বাহিনী সেঁধিয়ে গিয়েছেন আলপনাদেবীর হেঁসেলে। তাঁকে থামিয়ে দিয়ে আগন্তুক মহিলারা নিজেরাই হাত লাগান বৈকালিক চায়ের আয়োজনে। পরিবারের সদস্যদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিয়ে মহিলারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলতে শুরু করেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। পরিবারের ভোটটা কিন্তু আমাদের প্রার্থী উমা সরেনকেই দেবেন। সিপিএমের অপপ্রচারে একবারে কান দেবেন না।”
জঙ্গলমহলে মমতা-সরকারের উন্নয়নকে ভাঁওতাবাজি বলে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে সিপিএম। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সদস্যরা হানা দিচ্ছেন ভোটারদের হেঁসেলে কিংবা বৈঠকখানায়। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উমা সরেনের সমর্থনে জঙ্গলমহলের প্রতিটি ব্লকে মহিলা তৃণমূলের নেত্রী-সদস্যারা বাড়ি বড়ি গিয়ে গল্পের ছলে এমনই প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ঝাড়গ্রামের প্রার্থী উমা সরেনের সমর্থনে প্রচারপত্রও দিয়ে আসা হচ্ছে। মূলত ৫-৭ জন মহিলাদের দল ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভানেত্রী উত্তরা সিংহের দাবি, “জঙ্গলমহলে সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই ওরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা জঙ্গলমহলের ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাই কয়েক’টা কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।”