বেআইনি শব্দবাজি তৈরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কোলাঘাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামে হানা দিয়ে তপন মাইতি নামে এক বাজি কারখানার মালিককে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এক কুইন্টালের বেশি বিভিন্ন ধরনের শব্দবাজি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পয়াগ গ্রামের মাইতি পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই বাজি তৈরির কাজ করে কিছু পরিবার। অভিযোগ, সেখানেই আতসবাজির আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজির ব্যবসা করছিলেন কারিগরদের একাংশ।
শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে বুধবারও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দুর্গাচক থানার পুলিশ। ধৃত তপন দাস স্থানীয় বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর কাছ থেকে প্রায় তিন কিলোগ্রাম শব্দবাজি ও বাজি তৈরির মশলা বাজেয়াপ্তও করা হয়। যদিও বুধবার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান।
আর এই প্রবণতাই ভাবাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। শব্দবাজি বিক্রি ও সরবরাহ জামিনযোগ্য অপরাধ। তাই প্রথমবার জেল হেফাজত হলেও পরে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। ফলে কালীপুজোর দিন বা তার পরের দিন কী পরিস্থিতি থাকবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। শুধু তাই নয়, তমলুক উপনির্বাচনের আগে বাজির আড়ালে কোনও অস্ত্র যাতে না-ঢুকে পড়ে তার জন্য নজরদারি
বাড়ানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হলদিয়া টাউনশিপে শব্দবাজি আসছে হলদি নদীর ফেরিঘাট এবং কুঁকড়াহাটি-ডায়মন্ডহারবার ফেরিঘাট দিয়ে। ওই সব এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগণার নুঙ্গি, চম্পাহাটি এলাকা থেকে শব্দবাজি আসছে। মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইতিমধ্যেই প্রচুর শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। কালীপুজো পর্যন্ত চলবে বিশেষ টহল।”
তিনি আরও জানান, রাতে নদী পাড়গুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা থাকবে তমলুক উপ-নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত। রাতে পুলিশ কিয়স্কগুলিতেও পুলিশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy