বিষ্ণুপদ মহাপাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য চর্চায় নিজের অবদানের জন্য এ বার ‘‘মহর্ষি বাদরায়ন ব্যাস’’ সম্মান পেতে চলেছেন এগরার বিষ্ণুপদ মহাপাত্র। চলতি বছরের গত ১৫ অগস্ট রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জারি করা এক নির্দেশে সংস্কৃত সাহিত্যে অবদানের জন্য দেশ জুড়ে মোট ৫ জন ব্যাক্তিকে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরূপাক্ষ ভি জাদ্দিপাল, রত্নমোহন ঝা, প্রসাদপ্রকাশ জোশী, দেবীপ্রসাদ মিশ্র এবং বিষ্ণুপদ মহাপাত্র।
কয়েক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় পাঁচ সংস্কৃত বিশারদ-সহ পার্সিয়ান,আরবিক ও পালি ভাষার বিশিষ্টদের হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন।
সংস্কৃত ভাষায় তাঁর গবেষণার জন্য বিশেষ সম্মানের অধিকারী বিষ্ণুপদবাবু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার অন্তর্গত সাহাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি চাকুরি সূত্রে দিল্লির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত বিদ্যাপীঠে ন্যায়দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তবু সুযোগ পেলেই তিনি আসেন গ্রামে। তাই বিষ্ণুপদবাবুর এমন সম্মানে খুশি এলাকার সকলেই।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৮ সালে সাহাড়া হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন বিষ্ণুপদবাবু। ওড়িশার বালেশ্বর জেলার প্রিয়বাগের নরেন্দ্র মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে গ্র্যাজুয়েট হন। পরে ১৯৯৩ সালে পুরীর সদাশিব পরিষদ রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থান থেকে এমএ ও বারাণসীর সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি দিল্লির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত বিদ্যাপীঠে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন।
পুরস্কার প্রাপ্তির এমন খবর পেয়ে খুশি বিষ্ণুপদবাবুও। দিল্লি থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘এগরা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ আমি। আমার শিক্ষা অর্জন থেকে আজকের সমৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায় ছিল সাহাড়া গ্রামেই। চাকরি জীবনের শেষে আবার আমি গ্রামেই ফিরতে চাই। এই পুরস্কার আমি আমার এলাকাবাসী ও গুরুজনদের উৎসর্গ করলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy