শেল্টার হোমে আশ্রয় নিয়েছেেন সাধারণ মানুষ নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর গতিপথ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে ওড়িশার দিকে গেলেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সমুদ্রে। শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দিঘায় জলোচ্ছ্বাস ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সমুদ্র লাগোয়া গ্রামগুলি এলাকা খালি করার কাজ শেষ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ২ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রায় ৮০০টি শেল্টার হোম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
সমুদ্র লাগোয়া ২ কিমি এলাকা পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়। বেলা ১২টা নাগাদ ভরা জোয়ারে তাজপুর, মন্দারমণি, জলধা, শংকরপুর এলাকা প্লাবিত হয়। রামনগর ১ ও ২ ব্লকের পাশাপাশি কাঁথি ১ ও ২ নম্বর ব্লক, খেজুরি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েকটি অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী, গাছ কাটার দল, বাঁধ মেরামতির দল তৈরি রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই এই দলগুলি তৈরি থাকছে। বুধবার ঝড় আছড়ে পড়ার পর দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগাম ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy