Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩
Mid Day Meal

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দাসপুরে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না, বার বার জানিয়েও হয়নি কাজ

এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ুয়াদের বসার জন্য পাকা বাড়ি থাকলেও রান্নাঘর নেই। অগত্যা রাস্তার পাশে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে রান্নার কাজ। আশপাশ থেকে উড়ে এসে খাবারে পড়ছে ধুলোবালি।

ত্রিপল খাটিয়ে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না।

ত্রিপল খাটিয়ে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাসপুর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৯
Share: Save:

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। সেই খাবারই দৈনিক খাচ্ছে অন্তত ৫০ জন পড়ুয়া। এমনই বেহাল অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। কর্মীদের অভিযোগ, উপর মহলে বার বার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। অগত্যা এ ভাবেই চলছে রান্নাবান্না।

Advertisement

রাজ্যে মিড-ডে মিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যখন জেলায় জেলায় পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, ঠিক সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের রান্নার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থার ছবি দাসপুরে। দাসপুর ১-এর বাসুদেবপুরে রয়েছে নির্ভয়পুর বড়শিমুলিয়া সেনাপতিপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়তে আসে আশপাশের গ্রামের অন্তত ৫০টি শিশু। শিশুদের বসার জন্য রয়েছে পাকা বাড়ি। কিন্তু রান্নাঘর নেই। ফলে রাস্তার ধারে ত্রিপল খাটিয়েই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের রান্না।

যে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে রান্না চলছে তা-ও ফেটে গিয়েছে চারদিকে। রান্নার মধ্যে উড়ে এসে পড়ছে ধুলোবালি। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হলেও নিরুপায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এক কর্মীর দাবি, রান্নাঘরের জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও সাড়া মেলেনি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমন বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাও। শিশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য যখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিকর খাওয়ার দেওয়ার কথা, সেখানে কী ভাবে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হচ্ছে! এই অবস্থায় রান্না করা খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, এমনও আশঙ্কা রয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.