Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Paschim Midnapore

Mughalmari: মোগলমারি বৌদ্ধ বিহারের জমি হেফাজতে নিল জেলা প্রশাসন

৪০ বছর ধরে স্থানীয় একটি ক্লাব ওই বৌদ্ধ বিহারের জমি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছিল। এই জায়গাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলায় উদ্যোগী প্রশাসন।

জমির কাগজপত্র তুলে দিচ্ছেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল।

জমির কাগজপত্র তুলে দিচ্ছেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাঁতন শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২২ ০৩:০৭
Share: Save:

প্রায় ৪০ বছর দাঁতনের মোগলমারি বৌদ্ধ বিহারের দখল ছিল স্থানীয় একটি ক্লাবের হাতে। সেই ক্লাবের হাত থেকে ওই বৌদ্ধ বিহারের দখল নিল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে জমির কাগজপত্র দাঁতন-১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু এবং স্থানীয় বিধায়ক বিক্রম প্রধানের হাতে তুলে দেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল।

দুই একরেরও বেশি জমি জুড়ে ওই বৌদ্ধ বিহার। এত দিন তা দখলে রেখেছিল স্থানীয় ক্লাব তরুণ সঙ্ঘ পাঠাগার। জেলাপ্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে জমিটি উদ্ধারে উদ্যোগী হয়। মঙ্গলবার জেলাশাসক বলেন, ‘‘ক্লাবের দখলে জমিটি থাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। এ বার জমিটি হাতে পাওয়া গিয়েছে। খনন কাজ শুরু হবে। বৌদ্ধ বিহারটি সংরক্ষণের পাশাপাশি একে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হবে প্রশাসন।’’ ক্লাবের পক্ষে কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার।

মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার। নিজস্ব চিত্র।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সৌরভ সুমন মহান্তি বলেন, ‘‘জমির তথ্য যাচাই করার পর মোগলমারি বৌদ্ধ বিহারের জমি জেলা প্রশাসনের নামে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

২০০৩-০৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশোক দত্তের তত্ত্বাবধানে মোগলমারিতে খনন কাজ শুরু হয়। ২০১২-র ৩১ জুলাই প্রয়াত হন অশোক। বন্ধ হয়ে যায় খনন কাজ। ফের তা শুরু করতে চায় প্রশাসন। ওই এলাকায় একটি মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Paschim Midnapore Buddhist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE