Advertisement
E-Paper

রোগী মৃত্যু, ফের মার ডাক্তারকে

চিকিত্সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ফের নিগৃহীত চিকিৎসক। এ বার ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালপ্রসাদ বণিক (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে কর্তব্যরত চিকিত্সককে প্রকাশ্যেই মারধর করেন মৃতের পরিজনেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৫৬

চিকিত্সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ফের নিগৃহীত চিকিৎসক। এ বার ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালপ্রসাদ বণিক (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে কর্তব্যরত চিকিত্সককে প্রকাশ্যেই মারধর করেন মৃতের পরিজনেরা। পুলিশ সেই মারধরের নালিশ প্রথমে নিতে চায়নি বলেদাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পরে ঝাড়গ্রাম থানা অভিযোগ নিলেও তার প্রতিলিপি (রিসিভ্‌ড কপি) পুলিশ ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ।

ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বিএমওএইচ-কে বিষ্ঠা মাখিয়ে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে ক’মাস আগেই। তাতে আবার ওই চিকিৎসককেই শো-কজের মুখে পড়তে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ঝাড়গ্রামে চিকিৎসক নিগ্রহ হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন শাসক দলের চিকিত্সক সংগঠনও। তৃণমূল প্রভাবিত প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তের অবশ্য বক্তব্য, “হয়তো রিসিভড্‌ কপিতে ভুল ছিল। তাই তা ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে।”

ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলার বাসিন্দা গোপালবাবুকে বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে ভর্তি করা হয়। সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
এরপরই গোপালবাবুর মেয়ে জ্যোতি মল্লিকের নেতৃত্বে অন্য পরিজনেরা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়কে টেনে নিয়ে চড় মারেন বলে অভিযোগ। জ্যোতি মানছেন, “বাবার ঠিক চিকিত্সা করেননি ওই চিকিত্সক। তাই রাগে চড় দিই।” তবে চিকিৎসায় গাফিলতির লিখিত অভিযোগ তাঁরা করেননি।

ঘটনার পরে নিগৃহীত চিকিত্সক হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সুপার মলয় আদক এফআইআর দায়েরের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযোগপত্র পাঠান ঝাড়গ্রাম থানায়। কিন্তু আইসি তানাজি দাস প্রথমে অভিযোগপত্র নিতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতাল সুপার জেলার এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে কথা বললে থানা অভিযোগ নেয়। সুপার মলয়বাবু জানান, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিরঞ্জন মাইতির হাতে অভিযোগের প্রতিলিপি দেন থানা-কর্তৃপক্ষ। তারপর পিছু নিয়ে পুলিশের গাড়ি ফের নিরঞ্জনবাবুকে থানায় নিয়ে যায়। প্রতিলিপি কেড়ে নিরঞ্জনবাবুকে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরই ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানান সুপার ও চিকিত্সকেরা। শুক্রবার হাসপাতালেও এসেছিলেন জেলাশাসক আর অর্জুন। তাঁর আশ্বাস, “হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।”

কেন কেড়ে নেওয়া হল রিসিভড কপি? আইসি তানাজিবাবুর দাবি, “হাসপাতালের ওই কর্মী মদ্যপ ছিলেন। সুপার কি নিজে দেখেছেন, আমরা রিসিভ্‌ড কপি কেড়ে নিয়েছি!”

Death Patient Doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy