আটকে: অবরোধে বাস থমকানোর চেনা ছবি। ফাইল চিত্র
ঘনঘন অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকায় কমছে লাভ। বাড়ছে লোকসানের বহর। ক্ষোভের কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া রুটে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল বাস মালিকদের সংগঠন।
জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতির হুঁশিয়ারি, “এমনিতেই এখন বেশির ভাগ বাস লোকসানে চলছে। অবরোধে লোকসানের বহর আরও বাড়ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সড়কে ঘনঘন অবরোধ হচ্ছে। এ বার অবরোধ হলে সারা দিন সংশ্লিষ্ট রুটে বাস বন্ধ করে দিতে আমরা বাধ্য হব। বাস মালিকদের সমস্যাও প্রশাসনের দেখা উচিত।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সড়ক। বছর দশেক আগে এই রাস্তার ধেড়ুয়ায় সেতু তৈরি হয়েছে। এখন মেদিনীপুর থেকে এই সড়ক ধরে ধেড়ুয়ার সেতু পেরিয়ে খুব সহজেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছনো যায়। এই রাস্তাতেই বারবার অবরোধ হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন বাস মালিকেরা।
কেন ঘনঘন অবরোধ? মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও ঋত্বিক হাজরার আশ্বাস, “পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করবেন।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা হতেই পারে। দাবিদাওয়া থাকতে পারে। তবে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করা অনুচিত। অবরোধ হলে প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়েন। এটাও বুঝতে হবে।” তাঁর কথায়, “সমস্যা নজরে এলেই সমাধানের পদক্ষেপ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। তবে সব কাজ তো একদিনে করা সম্ভব নয়।”
গত মাসের গোড়ায় ধেড়ুয়ার মালবাঁধিতে অবরোধ হয়। এলাকাবাসীর দাবি ছিল, প্রায়শই টিমটিম করে আলো জ্বলে। সেচের জন্য পাম্প চালাতেও গিয়েও সমস্যা হয়। এলাকায় বিদ্যুতের লো- ভোল্টেজের সমস্যা দীর্ঘদিনের। অথচ, সমস্যার সমাধানে কোনও পদক্ষেপই করেনি প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ চলে। ভোগান্তিতে পড়েন বহু মানুষ। অবরোধের বিষয়টি জানতে পেরে দুই আধিকারিককে দ্রুত এলাকায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। সকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধ উঠতে উঠতে দুপুর হয়ে যায়।
দিন কয়েক আগে চাঁদড়ার বেলিয়াতেও অবরোধ হয়। এলাকাবাসীর দাবি ছিল, এখানে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমাধান চেয়ে আগেও বিভিন্ন মহলে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। পানীয় জলের জন্য দিনকয়েক আগে অবরোধ হয় গোপগড়েও। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতির কথায়, “এমনিতেই রাস্তায় খানাখন্দ বেশি হলে বাস চালানো দায় হয়ে পড়ে। এমন বেহাল রাস্তায় বাস চালালে বাস মালিকদের ক্ষতির মুখ দেখতে হয়। অবরোধ হলে সমস্যা আরও বাড়ে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy