Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ময়দানে রাজ্য নেতারা, জমাটি প্রচার খড়্গপুরে

হাতে আর এক সপ্তাহ। পুরযুদ্ধে শেষ কামড় দিতে তৎপরতা চোখে পড়ল সব দলেই। কলকাতায় বৃহস্পতিবারই ছিল পুর প্রচারের শেষ দিন। এ দিন খড়্গপুরেও দিনভর প্রচার করলেন বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতারা। দিনের শুরুতে সকাল ১১টা নাগাদ ইন্দার খড়্গপুর কলেজে সংলগ্ন ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড থেকে পুরভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোড-শো শুরু করেন দলের রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিংহ।

প্রচারে হেভিওয়েট। খড়্গপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুলি সিংহের রোড-শো।

প্রচারে হেভিওয়েট। খড়্গপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুলি সিংহের রোড-শো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৫৯
Share: Save:

হাতে আর এক সপ্তাহ। পুরযুদ্ধে শেষ কামড় দিতে তৎপরতা চোখে পড়ল সব দলেই। কলকাতায় বৃহস্পতিবারই ছিল পুর প্রচারের শেষ দিন। এ দিন খড়্গপুরেও দিনভর প্রচার করলেন বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতারা।

দিনের শুরুতে সকাল ১১টা নাগাদ ইন্দার খড়্গপুর কলেজে সংলগ্ন ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড থেকে পুরভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোড-শো শুরু করেন দলের রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিংহ। রোড-শোতে রাহুলি সিংহের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝাঁ, দলের পশ্চিম মেদিনীপুরের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক প্রমুখ।

এ দিন ইন্দা মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড, গোলবাজার, সুভাষপল্লি, বড়বাতি, খরিদা, মালঞ্চ রোড, নিমপুরা, মথুরাকাটি, নিউ সেটলমেন্ট, টাউন থানা, সিএমই গেট হয়ে ঝাপেটাপুরে শেষ হয় রোড-শো। এ দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনাও চোখে পড়ে। কোথাও মালা দিয়ে আবার কোথাও ধামসা মাদলের তালে-তালে রাজ্য সভাপতিকে বরণ করে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ও সমর্থকেরা।

এ দিন খড়্গপুরের খরিদার মন্দিরতলা ও কৌশল্যা মোড়ে দু’টি প্রচারসভায় দেন রাহুল সিংহ। খরিদার সভায় শাসকদলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে লস্লোগান দিয়েছিল, উল্টে দিন-পাল্টে দিন। পরিবর্তনের জন্য সাধারণ মানুষ বামেদের উল্টে তৃণমূলকে এনেছে। এ বার পাল্টানোর পালা, বিজেপিকে আনুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘উনি বলছেন তুলির টান দিলেই ১০ লক্ষ টাকা পান। আপনারা এই শিল্পীকে নবান্নে নয়, মিউজিয়ামে রাখুন।’’ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুলবাবু বলেন, ‘‘যে রাজ্যে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব আক্রান্ত হচ্ছেন, বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানে সুষ্ঠু ভোটের আশা করাই বৃথা। আসলে নির্বাচন কমিশনকে বকলমে পরিচালনা করে রাজ্য সরকার।’’

খড়্গপুরে শ্রীকৃষ্ণপুর ও ভবানীপুরে সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। শ্রীকৃষ্ণপুরে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এই নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্বাচন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। আগে ভোটের সময় প্রশাসনের দাপাদাপি দেখা যেত। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলছি, এ বারে কোনও ঝান্ডা বা পুলিশের দাপাদাপি থাকবে না। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিন।’’

বৃহস্পতিবার শহরের প্রেমবাজার, নিউ ডেভেলপমেন্ট, ট্রাফিক মোড় ও ভবানীপুরে সভা করেন মানস ভুঁইয়া। এ দিন ভোটে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে মানসবাবু বলেন, ‘‘ভোটের আগে খড়্গপুর অশান্ত হয়ে উঠছে। দুষ্কৃতীদের দু’টি গোষ্ঠী দু’টি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে অশান্তি বাধাতে চাইছে। পুলিশকে বলব, খড়্গপুরকে অশান্ত হতে দেবেন না। এই শহরে কংগ্রেসকে পরাজিত করতে পুলিশ যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে, সেটা করবেন না। তাহলে হাত পুড়ে যাবে।’’

মানসবাবু বলেন, ‘‘রেলশহরে পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে মমতা বলেছিলেন, হাসপাতাল সাজিয়ে দেবেন, জল-সমস্যা মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু ওরা কথা রাখেনি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রবিশঙ্কর পান্ডের নেতৃত্বে শহর স্বাবলম্বী হয়েছে। জল সঙ্কট মেটাতে কংগ্রেসের হাত ধরুন।’’

ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE