পিঠের স্টলে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর: বইছে উত্তুরে হাওয়া। আর বাঙালির পিঠে বিলাস দমে থাকবে, তা আবার হয় না কি। সঙ্গে মিলে গিয়েছে নতুন বছরের আনন্দ। সব নিয়ে শনিবার মেদিনীপুরে বার্জটাউনের মাঠে জমে উঠল পিঠে মেলা।
বছর পাঁচেক আগে এমনই এক মেলা শুরু করতে চেয়েছিলেন শহরের কমলেশ নন্দ। সাহিত্যপ্রেমী কমলেশের মনে হয়েছিল, পিঠেপুলির ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। সেই ঐতিহ্য বাঁচাতেই এই মেলার কথা ভাবেন তিনি। ‘পিঠে প্রেমী’ নামে একটি সংস্থাও গড়া হয়। তারপর কেশিয়াড়ি থেকে কেশপুর, ধেড়ুয়া থেকে গড়বেতা— গাঁগঞ্জে ঘুরে পিঠের খোঁজ শুরু হয়। পিঠে মিললে কী হবে, কেউ মেলাতে আসতে রাজি নন। তখন নিজেরাই গাঁটের কড়ি খরচ করে পিঠের অর্ডার দেন। তা নিয়ে পাঁচ বছর আগে শুরু হয় পিঠে মেলা।
প্রথম তিন বছর নিজেদেরই পিঠে বিক্রি করতে হয়েছিল। গত দু’বছর ধরে পিঠে প্রস্তুতকারকেরাই স্টল দিতে শুরু করেন। ভাল পিঠের জন্য রয়েছে পুরস্কারও। কেউ পাটিসাপটা, চন্দ্রপুলি তো কেউ গোকুল, কোটপুলি নিয়ে বসেছেন। উদ্যোক্তারা শুধু পরিচালনার দায়িত্বে। শনিবার বার্জটাউন মাঠে ২৮টি স্টল দেখা গেল। গতবারের থেকে ৮টি স্টল বেড়েছে। শনিবার বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে মেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার অনেক আগে থেকেই ভিড় জমে। মেয়ে শ্রীজিতাকে নিয়ে এ দিন এসেছিলেন শিক্ষিকা শ্রাবণী নাগ। তিনি জানালেন, আগে থেকে না এলে ভিড় ঢেলে স্টলে ঢোকাই কঠিন। তাহলে খাব কী, বাড়ির জন্যই বা নিয়ে যাব কী করে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy