দিঘার সমুদ্রে পর্যটকদের স্নান। —নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই সমুদ্রে ঝাঁপালেন কাতারে কাতারে পর্যটক। রবিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল দিঘায়। পুজোর ছুটিতে সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটনকেন্দ্র দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং শঙ্করপুরে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির গতিও। তবে দুর্যোগের পরোয়া করেননি পর্যটকেরা। তাঁরা নেমে পড়েন সমুদ্রে।
করোনা অতিমারির জেরে গত দু’বছর ধরে দিঘার পর্যটন ব্যবসা প্রায় তলানিতে। মাস কয়েক আগে লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হওয়ায় দিঘা-সহ রাজ্যের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তবে হোটেলে থাকতে গেলে করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র অথবা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, এ বার পুজোর মুখে খরা কেটেছে দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলির। পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই আগাম বুকিং শুরু হয়েছিল। ফলে পুজো যতই এগিয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এই মুহূর্তে দিঘায় পর্যটকের ভিড় দেখে হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের। করোনার বিধিনিষেধ কাটিয়ে সমুদ্রের খোলা হাওয়ায় মুক্তির স্বাদ পেতে ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক ছুটে আসছেন সৈকত শহরে।
লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে বলে মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুরে। রবিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। দুপুরের পর অন্ধকার নেমে আসে। দুপুরের পরে প্রবল বৃষ্টি নামে। মেদিনীপুর শহর ছাড়াও পার্শ্ববতী এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া এবং হুগলিতেও।
রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির বেগ বাড়তে শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত উপকূল এলাকার পাশাপাশি শহরতলির বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল জমেছে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ এবং ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার, রায়দিঘি, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা এবং গোসাবার মতো তীরবর্তী এলাকায় প্রশাসন এবং মৎস্য দফতরের তরফে মাইকে প্রচার চালিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিটি ব্লকের আশ্রয় শিবিরগুলিও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তিন দিন বৃষ্টির পাশাপাশি বুধবার থেকে পুর্ণিমার কটাল থাকায় নদী এবং সমুদ্রে জলস্ফীতিরও আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ও ভাঙন কবলিত এলাকা গুলির উপরও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়ার আরও অবনতি হলে সোমবার সকাল থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার পরিকল্পনাও করছে প্রশাসন। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তিন দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy