Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
Attack on Abhishek's Convoy

ধৃত কুড়মি নেতাদের আদালতে পেশ সোমবার, হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিআইডি

শুক্রবার ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ‘রোড শো’ শেষ করে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় অল্পবিস্তর জখম হন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।

Kurmi Leaders arrested in Abhishek Banerjee’s convoy attack incident will be produced to court today

ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ফাইল চিত্র ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শালবনি ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ১১:৪১
Share: Save:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয় কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো-সহ আটজনকে। এর পর রবিবার আটক করার পর সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়মি আন্দোলনের আরও এক নেতা নীতীশ মাহাতোকে। তাঁদের সকলেই সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে। আদালতে সিআইডির তরফে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সূত্রের খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নীতীশের বাড়ি জাম্বনি থানা এলাকায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রবিবার রাতেই নীতীশকে আটক করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ‘রোড শো’ শেষ করে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় অল্পবিস্তর জখম হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আদিবাসী নেত্রী বিরবাহা হাঁসদা। যদিও এই হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিলেন অভিষেক এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও এই হামলার ঘটনায় কুড়মি নেতা রাজেশ-সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ এদের মধ্যে আন্দোলনের, ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গে’র সভাপতি রাজেশ এবং আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাতো-সহ মোট আট জনকে রবিবার গ্রেফতার করেছে। এর পর আবার সোমবার গ্রেফতার করা হল কুড়মি আন্দোলনের আর এক নেতা নীতীশকে। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। হামলার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিন্‌হা বলেন, “কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার সিআইডি নিয়েছে।”

গত কয়েক মাস ধরেই জনজাতি তালিকাভুক্ত করা থেকে শুরু করে কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি— নানা দাবিতে আন্দোলন করছে কুড়মি সামাজিক সংগঠনগুলি। জাতীয় সড়ক, রেল অবরোধের পাশাপাশি ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনকে একটি সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। নেতাদের ধরলেও আন্দোলন থেমে থাকবে না, এই বার্তা দিয়ে সারা ভারত কুড়মি সমন্বয় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘সমাজের আন্দোলন ব্যক্তি নির্ভর নয়। বহু যুগের বঞ্চনা সয়ে কুড়মিরা শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE