Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

খড়গপুরের বন্ধ রেল কাউন্টার খুলতে বৈঠক

এ বার স্টেশনের উত্তরদিকের ওই সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার খোলার দাবি নিয়ে বৈঠকে বসল খড়্গপুর রেল ডিভিশনের পরামর্শদাতা কমিটি। 

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
Share: Save:

নামেই এ-ওয়ান স্টেশন। অথচ খড়্গপুর স্টেশনের উত্তর দিকে একমাত্র সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাউন্টার দেড় বছর ধরে বন্ধ। উত্তরদিক থেকে আসা রেল যাত্রীদের দু’কিলোমিটার অতিরিক্ত পথে পেরিয়ে যেতে হচ্ছে দক্ষিণ দিকের টিকিট কাউন্টারে। সেখানেও মাত্র দু’টি কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। এ বার স্টেশনের উত্তরদিকের ওই সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার খোলার দাবি নিয়ে বৈঠকে বসল খড়্গপুর রেল ডিভিশনের পরামর্শদাতা কমিটি।

শুক্রবার খড়্গপুরের ডিআরএম তথা কমিটির চেয়ারম্যান কে রবিনকুমার রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক হয় কমিটির সদস্যদের। শুধু খড়্গপুর রেল স্টেশনের সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার খোলার দাবি নয়, ভোগপুর, সাঁতরাগাছি, হলদিয়া-সহ ডিভিশনের বিভিন্ন রেল স্টেশনের নানা সমস্যা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোগপুর স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি করে ছাউনি রয়েছে। এর জেরে ট্রেনের ১২টি কামরার অধিকাংশ ছাউনির বাইরে দাঁড়ানোয় রোদে-বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আবার হলদিয়া স্টেশন থেকে প্যাসেঞ্জার ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করলেও সেখানে এখনও কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ।

এ দিন খড়্গপুর স্টেশনের সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়েই দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।

যদিও রেলের দাবি, খড়্গপুর ডিভিশনে বুকিং কাউন্টারে কর্মী সংখ্যা কম থাকার কারণে ওই কাউন্টার বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক কাউন্টার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এমনকী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গিরিময়দান স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টার দিনের অধিকাংশ সময়ে বন্ধ থাকে। খোদ ডিভিশনের প্রধান স্টেশন খড়্গপুরেও প্রায় ১২ জন কর্মীর অভাব থাকায় কাউন্টার খোলা যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়ছেন খোলা থাকা কাউন্টারের কর্মীরাও।

খড়্গপুর স্টেশনের দক্ষিণ দিকের এক টিকিট কাউন্টারের কর্মীর কথায়, “কাউন্টার কম খোলা থাকায় আমাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ বাড়ছে। কর্মীর অভাবে ছুটিও পাচ্ছি না।” রেল বোর্ড মনোনীত পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য সঞ্জয় হাজরা বলেন, ‘‘যাত্রীদের থেকে জেনে প্রতিটি বিষয় আমরা বৈঠকে তুলে ধরলাম। রেলের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি কাজ হবে।”

রেলের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে ডিআরএম কে রবিনকুমার রেড্ডি উপস্থিত থাকতে পারেননি। উপস্থিত ছিলেন এডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান, সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার তথা জনসংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি। এ দিন বৈঠক শেষে রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “পরামর্শদাতা কমিটির দাবিগুলি আমাদের বিবেচনার মধ্যেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়া স্তরে রয়েছে। আর আমরা শীঘ্র নতুন বেশ কয়েকজন টিকিট বুকিং ক্লার্ক পাব। তাতে কর্মী সংখ্যা অভাব কমবে।

তার পরেই সংরক্ষিত আসনের বন্ধ থাকা টিকিট কাউন্টার খুলে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE