Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
কলেজের পরিচালন সমিতিতে নেই

ক্ষুব্ধ কেশপুরের বিধায়ক

সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও বিধায়ককে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য না করার অভিযোগ উঠল কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও বিধায়ককে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য না করার অভিযোগ উঠল কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।

শিউলিদেবী বলেন, “একমাস আগে নাম পাঠানোর পরেও কী কারণে বা কোন চাপে অধ্যক্ষ আমাকে পরিচালন সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করেননি বুঝতে পারছি না। আমি এ বার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।” এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়ার বক্তব্য, “আগে সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে একজনের নাম পাঠানোর পর ফের দু’জনের নাম পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। নতুন দু’জনের নাম পেয়েছি গত মঙ্গলবার। তিনজনের মধ্যে কাকে বাদ দেব তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছি। উত্তর পেলেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় বিধায়ককে কলেজ পরিচালন সমিতিতে রাখা বাধ্যতামূলক নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা সদস্যপদ পান। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি কলেজের পরিচালন সমিতিতে বর্তমানে স্থানীয় বিধায়ক সদস্য হিসেবে রয়েছেন। প্রায় এক বছর আগে কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত কলেজের পরিচালন সমিতি তৈরি হয়েছিল। তখন সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে দু’জনের পরিবর্তে একজনের নাম পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই সরকারি প্রতিনিধি রজনীকান্ত দোলুইকেই পরিচালন সমিতির সভাপতি করেছে কলেজ। আবার নতুন করে দু’জনের নাম পাঠায় উচ্চশিক্ষা দফতর। তার মধ্যে বিধায়কের পাশাপাশি কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ মিদ্যার নামও রয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে বিধায়ক ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে সদস্য করলে পরিচালন সমিতির সভাপতিও বদল হবে। তখন সভাপতি পদের দাবিদার হয়ে উঠতে পারেন বিধায়ক। সে ক্ষেত্রে ব্লকের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর প্রভাব কমবে কলেজে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের চাপেই অধ্যক্ষ টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ। যদিও অধ্যক্ষের দাবি, “কোনও চাপ নেই।” জগন্নাথবাবুরও বক্তব্য, “বিধায়কের কাছ থেকেই শুনেছি সমিতির সদস্য হিসাবে আমার নাম পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কলেজ আমাদের কিছুই জানায়নি!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA College Working Committee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE