পথ অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনা এড়াতে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে প্রতিদিন ভোর চারটে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মালবাহী ভারী লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। এই নির্দেশের জেরে মাল পরিবহণে অসুবিধা হচ্ছে— এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে তমলুক থানার দামোদরপুর গ্রামের কাছে রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় লরি চালকরা। পুলিশ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের আলোচনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
এ দিন অবরোধে সামিল হয় প্রায় একশো জন লরি চালক। লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানায় অবরোধকারীরা। লরি চালকদের আরও অভিযোগ, নিমতলা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা লরি চালকদের উপর অত্যাচার করছে। সব জেনেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবরোধের জেরে এ দিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বালি, মোরাম, স্টোনচিপস্-সহ বিভিন্ন মাল বোঝাই লরি মূলত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, হলদিয়ায় যাতায়াত করে। পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক ধরে লরিগুলি। তমলুকের রাধামনি বাজারের কাছে লরিগুলি হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হলদিয়ার দিকে যায়।
অভিযোগ, তমলুকের নেতাজিনগরের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় গাড়ির টোল দেওয়া এড়াতেই মেদিনীপুরের দিক থেকে যাতায়াতকারী অনেক লরি বিকল্প রাস্তা হিসেবে পাঁশকুড়া-তমলুক রাজ্য সড়ক ধরে যাতায়াত করে। এর ফলে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাজ্য সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গত ২৪ জানুয়ারি তমলুক থানার নিমতলা এলাকায় লরির ধাক্কায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ে।
দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁশকুড়া-তমলুক রাজ্য সড়কে লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অবরোধকারী লরি চালক ভবেশ গুছাইত, সুশান্ত মাইতিদের অভিযোগ, ‘‘নিষেধাজ্ঞা জারির পর রাজ্য সড়কের পাশের বহু এলাকায় মালপত্র পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। ফলে নানা সমস্যা হচ্ছে।’’ যদিও জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই রাজ্য সড়কে আগে থেকেই মালবাহী ভারী লরি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অপেক্ষাকৃত সরু ওই রাস্তা দিয়ে অনেক লরি যাতায়াতের ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা রুখতেই নির্দিষ্ট সময়ে মালবাহী লরি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লরি চালকদের দাবি নিয়ে প্রশাসনিকভাবে আলোচনার কথা জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy