Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
District Library

এসি হল, কাফেটেরিয়ায় ভোল বদল জেলা গ্রন্থাগারের

জেলা গ্রন্থাগারিক জানান, নবনির্মিত চতুর্থতলে সভাকক্ষ চালু হওয়ার ফলে তৃতীয়তলটি পুরোপুরি কেরিয়ার গাইডেন্স এবং ই-লার্নিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নতুন সাজে ও আধুনিক নানা পরিষেবা সহ জেলা গ্রন্থাগার পাঠকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।                        

নতুন সাজে গ্রন্থাগার। নিজস্ব চিত্র

নতুন সাজে গ্রন্থাগার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:১২
Share: Save:

কম্পিউটারে কয়েক হাজার বইয়ের তালিকা নথিবদ্ধ করা হয়েছে কিছু দিন আগে। এবার গোটা ভবনের হাল বদলে আরও আধুনিক হল তমলুক জেলা গ্রন্থাগার।

গ্রন্থাগারের পুরনো তিনতলা ভবন এখন চারতলা হয়েছে। পড়ে তোলা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নতুন সভাকক্ষ। পড়ার ফাঁকে গরম কপিতে চুমুক দিতে হচ্ছে কাফেটেরিয়া। ভবনের বাইরের দিকের অংশ নীল কাচের মোড়কে আরও ঝাঁ চকচকে হয়েছে। পাঠকদের কাছে জেলার প্রধান গ্রন্থাগারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে এমন সাজসজ্জা হয়েছে গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গিয়েছে।

তমলুক শহরে বৈকুণ্ঠ সরোবর ও রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে জেলা গ্রন্থাগার ভবন সংস্কার নিয়ে জেলা গ্রন্থাগারিক বিদ্যাধর মুদলি বলেন, ‘‘সংস্কার-সহ আধুনিক সাজে গ্রন্থাগার ভবনকে সাজানো হয়েছে। পুরনো তিনতলা ভবনের উপরে আরও একটি তল নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ভবনেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সভাকক্ষ ও কাফেটেরিয়া তৈরি হচ্ছে। গ্রন্থাগার ভবনের ভিতরের অংশে সিঁড়িতে পাথর ও মেঝেতে টাইলস বসানো হয়েছে। দেওয়াল সংস্কার করে নতুন রঙ করা হয়েছে। সংস্কার প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।’’

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক জেলা গ্রন্থাগার প্রায় ৬৩ বছরের পুরনো। আগে দ্বিতল ভবন ছিল। কয়েক বছর আগে ওই ভবনের উপরেই আরও একটি তলা নির্মাণ করা হয়। ভবনের প্রথম, দ্বিতীয়তল ও তৃতীয় তল মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার বই রয়েছে। এর মধ্যে ৫১ হাজার বই কম্পিউটারে নথিবদ্ধ করে কম্পিউটারের মাধ্যমে সেগুলির লেনদেন শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনতলায় যে সভাকক্ষ রয়েছে সেখানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বর্তমানে গ্রন্থাগারে সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। নিয়মিত পাঠক সংখ্যা গড়ে ৯০ জন।

জেলা গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, সদস্য ও পাঠক সংখ্যা বাড়ায় গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি ছিল। এর জন্য জেলা গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী ভবন সংস্কার ও নতুন একটি তল নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য গ্রন্থাগার দফতর। সেই টাকাতেই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। জেলা গ্রন্থাগারিক জানান, নবনির্মিত চতুর্থতলে সভাকক্ষ চালু হওয়ার ফলে তৃতীয়তলটি পুরোপুরি কেরিয়ার গাইডেন্স এবং ই-লার্নিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নতুন সাজে ও আধুনিক নানা পরিষেবা সহ জেলা গ্রন্থাগার পাঠকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

District Library Cafeteria
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE