প্রতীকী ছবি।
রাজপ্রাসাদে রাত্রিযাপন! দোতলার বারান্দা থেকে চাঁদনি রাতে ছুঁয়ে দেখা ইতিহাস আর স্থাপত্যকে।
বাস্তবে পর্যটকদের জন্য এমন ব্যবস্থাই হতে চলেছে ঝাড়গ্রামের জামবনির চিল্কিগড়ে। প্রশাসনের দাবি এতে জঙ্গলমহলের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। তা ছাড়া, এই প্রথম রাজপ্রাসাদের দোতলায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা হবে। শীঘ্রই জামবনি জেলা প্রশাসন এবং চিল্কিগড় রাজ পরিবারের ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হবে।
শহরে মল্লদেব রাজপ্রাসাদের ঐতিহ্যবাহী অতিথিশালা আছে এক তলায়। রাজপরিবার তরফে সেটি চালানো হয়। দোতলায় সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে দিক থেকে সেখানে প্রশাসনের উদ্যোগে অতিথিশালা হলে পর্যটকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে দাবি প্রশাসনের। চিল্কিগড়ের কনকদুর্গার মন্দিরের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে রয়েছে ধবলদেব রাজপরিবারের ইতিহাস। ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে জামবনি পরগনার সামন্তরাজা গোপীনাথ সিংহ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গভীর জঙ্গলে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কনকদুর্গার মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরে চিল্কিগড় গ্রামে ধবলদেবের রাজপ্রাসাদ। চুন-সুরকির তৈরি মূল দোতলা প্রাসাদটি দেড়শো বছরের পুরনো। এখন সেটিতে থাকেন রাজপরিবারের কয়েক জন সদস্য।
পরবর্তী কালে রাজা জগদীশচন্দ্র ধবলদেবের আমলে পুরনো প্রাসাদের সামনে নতুন একটি দোতলা প্রাসাদ তৈরি করেন। প্রাসাদ চত্বরে রয়েছে শিবমন্দির, কালাচাঁদ জিউয়ের মন্দির ও রাসমঞ্চ। রয়েছে আমবাগান।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ পরিবারের সুদিন অতীত। জগদীশচন্দ্রের নাতি বিরজেশচন্দ্র ধবলদেব রাজপরিবারের মূল উত্তরাধিকারী। তিনি কলকাতায় থাকেন। মাঝেমধ্যে চিল্কিগড় আসেন। দেখভালের অভাবে দু’টি প্রাসাদই বেহাল। সূত্রের খবর, রাজপরিবার চাইছেন, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রাসাদের হাল ফিরুক। জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল বলেন, “রাজপরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। সিডিপিও অফিস সরিয়ে একতলা ও দোতলায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।” বিরজেশবাবু বলেন, “এত বড় প্রাসাদ দেখভাল করার লোকবল নেই। তাই প্রশাসনের সঙ্গে ‘মউ’ চুক্তিতে আগ্রহী। রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি পর্যটনও বাড়বে। প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পর্যটকরাও এখানে থেকে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy