বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে বালি তোলার ফলে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে সুবর্ণরেখা নদীর গতিপথ। আর তা আটকাতে এ বার যৌথ ভাবে পদক্ষেপ করছে ওড়িশা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসন। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) নির্দেশে কার্যকর করতে ওড়িশা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক কর্তারা বৃহস্পতিবার বৈঠক করলেন মেদিনীপুরের সার্কিট হাউসে। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও ২ রাজ্যের আধিকারিকরা এমন বৈঠক করেছেন।
সুবর্ণরেখা থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে মামলাটি করেন ওড়িশার বালেশ্বরের সুদর্শন দাস নামে এক সমাজকর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, বালেশ্বর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায় সুবর্ণরেখা থেকে বালি তোলার ফলে নদীর পরিবেশ ভৌগোলিক অবস্থান, গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রশাসন যেন খতিয়ে দেখে।
এনজিটির নির্দেশ কার্যকর করতে ২ রাজ্যের প্রশাসন একাধিক বার বৈঠকে বসে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে ২ রাজ্যে সুবর্ণরেখা এলাকার মানচিত্র এবং নথিপত্র আদানপ্রদান হয়েছে। আধিকারিকরা সোমবার ওই এলাকাগুলি সরেজমিনে দেখবেন বলেও জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁরা নদীর সীমানা নির্ধারণ করবেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩টি এবং ওড়িশার ৯টি মৌজা ধরে এই কাজ হবে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ছিলেন বালেশ্বরের অতিরিক্ত জেলা শাসক সম্বিতকুমার নায়েক জলেশ্বরের তহসিলদার ক্ষীরোদকুমার পণ্ডা, সাব কালেক্টর ঈশ্বর আশিস পটেল। এ রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত ডিএলআরএস অরিন্দম মানি এসআরও-২ হিতব্রত চন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার শিংলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy