Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Crime

Crime: শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি করে বাপের বাড়িতে আশ্রয়, সম্পত্তি হাতাতে মাকে খুন করল মেয়ে!

প্রথমে মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ছোট মেয়ে। কিন্তু পরে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয় সে।

মেয়ের হাতে খুন মেয়ে!

মেয়ের হাতে খুন মেয়ে! প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ১৯:৩০
Share: Save:

শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি হওয়ায় বাপের বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু বাপের বাড়ির সম্পত্তি হাতাতে নিজের মাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করল মেয়ে। প্রথমে একে স্বাভাবিক খুন বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই তরুণী। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার বামুনদা গ্রামে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম রাধারানি জানা। বয়স ৫৭ বছর। এই খুনের ঘটনায় মৃতার ছোট মেয়ে শ্যামলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে নিজের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। শুরু হয় তদন্ত। তখনই মৃতার বড় মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ২৭ বছরের ছোট মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রথমে তিনি মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে পরে জিজ্ঞাসাবাদে মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। সম্পত্তির জন্যই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বামনপুরের বাসিন্দা রাধারানির দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। স্বামী গত হয়েছেন আগেই। বড় মেয়ে কাকলির বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। ছোট মেয়ে শ্যামলীর বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হত। পরে বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে।

বছর খানেক আগে রাধারানির একমাত্র ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই যাবতীয় সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দিত ছোট মেয়ে, এমনই অভিযোগ। এমনকি, একাধিকবার মেয়ের হাতে মার খেয়ে বাড়ি ছেড়ে গাছতলাতেও থাকতে হয় রাধারানিকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বোঝাতে দেহটিকে গোয়াল ঘরে ফেলে রাখা হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ শ্যামলী প্রতিবেশীদের জানায় গোয়ালঘরে পড়ে গিয়ে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই সবাই যেন সৎকারে সহযোগিতা করেন। কিন্তু মৃতের গলায় অস্বাভাবিক দাগ দেখেই সবার সন্দেহ হয়। তাঁরাই মৃতার বড় মেয়ে কাকলি জানা পালকে ডেকে পাঠান। এরপরেই তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE