উপচে পড়া ভিড় দিঘার সৈকতে। ছবি: সোহম গুহ।
কথায় রয়েছে, বাঙালির পায়ের তলায় সরষে।
বছরের যে কোনও সময় ছুটি পেলেই একটু হাওয়া বদলের অভ্যাস বাঙালির স্বভাবেই রয়েছে। আর শারদোৎসবের টানা ছুটি কি নষ্ট হতে দেওয়া যায়। তাই ষষ্ঠী থেকেই বেরিয়ে পড়া। টানা ছুটি পেয়ে খুশি সরকারি কর্মীরাও। তাই পুজোর আগে জনস্রোতে ভাসতে প্রস্তুত সৈকত শহর দিঘাও। পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বাদ নেই মন্দারমণি, তাজপুরও। পুজোয় ভাল ভিড়ের আশায় রয়েছেন হোটেল মালিকেরাও। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত জানালেন, দিঘার বিভিন্ন বেসরকারি হোটেল-লজগুলির পাশাপাশি সরকারি কটেজ ও অতিথিশালাগুলিও পুজোর ক’দিন পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকবে। পুজোর ক’দজিন হোটেল বুকিংয়ের পালাও শেষ। পুজোয় আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপদে সমুদ্রে স্নান করতে পারেন সেজন্য সমুদ্রের পাড়ে নুলিয়াদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুজোয় আগত পর্যটকদের রাস্তা পরিষ্কার, পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা-সহ সমস্ত নাগরিক পরিষেবা প্রদানের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পুজোর ছুটিতে বাবামার সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে এসেছে চন্দ্রকোনার কলেজ ছাত্রী সুপর্ণা দাস। তাঁর কথায়, “স্নাতকের পার্ট-টু পরীক্ষায় পাশ করার আনন্দে পুজোর আগেই দিঘা চলে এসেছি।” দিঘায় বেড়াতে এসেছেন নদিয়ার হালিশহরের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী পল্লব ভদ্র বলেন, “পুজোর আগেই দিঘা ঘুরে যাচ্ছি। ভালই লাগছে।” ওল্ড দিঘা হোটেল ওনার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিমাংশু প্রধান জানালেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০ শতাংশ হোটেলের ঘর বুকিং করে ফেলেছেন। মন্দারমণিতে প্রায় সত্তর শতাংশ হোটেলের ঘর বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে জানান হোটেল মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক দেবদুলাল মহাপাত্র।
অন্য দিকে, দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, দুর্গোপুজো আর ঈদের জন্য এ বার পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। অন্য বছর এই সময় এক শ্রেণির হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে পর্যটকদের থেকে চড়া হারে ঘর ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে। এ বার এই ঘটনা এড়াতে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পর্যটক সহায়তা কেন্দ্রও খোলা হবে। কোনও পর্যটক বিপদে পড়লে এই কেন্দ্র থেকে তাঁদের সাহায্য করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy