চলছে প্রশাসনিক বৈঠক। সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর হালহকিকত খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিল রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের এক প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের দলে ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান এন্তাজ আলি শাহ। এ দিন সকালে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে এক প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। পরে জেলা পরিষদ হলে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন। প্রশাসনিক বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান এন্তাজ আলি শাহ বলেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজকর্ম কেমন চলছে, বৈঠকে সেই নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। কাজকর্মের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ কালেক্টরেটের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। চলে বেলা একটা পর্যন্ত। দু’ঘন্টার বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্প যেমন হস্টেল নির্মাণ, মাদ্রাসা নির্মাণ, পানীয় জল প্রকল্প প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। ছিলেন কমিশনের অন্য দুই সদস্য জইদুল ইসলাম খান, শেহনাজ কাদেরি, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সদর) অবধেশ পাঠক, সংখ্যালঘু দফতরের ভারপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লকের মধ্যে ৪টি ব্লক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বলে পরিচিত। কেশপুর, গড়বেতা-১, গড়বেতা-৩ এবং মেদিনীপুর সদর। সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। আইএমডিপি, এমএসডিপি নামে দু’টি প্রকল্প থেকেও অর্থ বরাদ্দ হয়। বরাদ্দ অর্থে মূলত আইসিডিএস সেন্টার, পানীয় জল প্রকল্প, হেলথ্ সাব-সেন্টার, ক্ষুদ্র সেচ প্রভৃতি প্রকল্প রূপায়ণ হয়। প্রকল্পগুলোর কাজ জেলায় কেমন চলছে, কাজ এগোতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেই সব নিয়েও খোঁজখবর নেন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জেলায় কতগুলো মাদ্রাসা রয়েছে, সেখানে কতজন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে, তাও জেনে নেন। বৈঠকে উঠে আসে কবর স্থানগুলোয় সীমানা প্রাচীর দেওয়ার মতো বিষয়ও। কমিশনের প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, জেলার সার্বিক উন্নয়ন প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠে আসে। প্রশাসনিক বৈঠকের পর দুপুরে জেলা পরিষদ হলে এক সভা হয়। এখানে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। তবে অনেকে প্রকল্পের কথা না জানায় সুফল নিতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে জেলায় আরও বেশি সংখ্যক সচেতনতা শিবির করা হতে পারে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy