Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও আবাসিক ছাত্রদের

পুজোর ছুটিতে হস্টেল বন্ধ করা চলবে না, এমন দাবিতে সোমবার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আবাসিক ছাত্ররা। ছাত্ররা জানিয়েছে, প্রতি বছর পুজোর ছুটিতে কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলা, রসায়ন ও প্রাণিবিদ্যার স্পেশাল ক্লাস নেওয়া হয়। ওই ক্লাস করার জন্য অন্যান্য বছরগুলিতে পুজোর ছুটির সময় হস্টেলে থেকেছেন আবাসিক পড়ুয়ারা। রাজ কলেজে ছাত্রদের দু’টি হস্টেলে মোট দেড়শো জন আবাসিক থাকেন। এর মধ্যে জনা কুড়ি স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া রয়েছেন।

ঘেরাওয়ের মাঝে। নিজস্ব চিত্র।

ঘেরাওয়ের মাঝে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৯
Share: Save:

পুজোর ছুটিতে হস্টেল বন্ধ করা চলবে না, এমন দাবিতে সোমবার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আবাসিক ছাত্ররা। ছাত্ররা জানিয়েছে, প্রতি বছর পুজোর ছুটিতে কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলা, রসায়ন ও প্রাণিবিদ্যার স্পেশাল ক্লাস নেওয়া হয়। ওই ক্লাস করার জন্য অন্যান্য বছরগুলিতে পুজোর ছুটির সময় হস্টেলে থেকেছেন আবাসিক পড়ুয়ারা। রাজ কলেজে ছাত্রদের দু’টি হস্টেলে মোট দেড়শো জন আবাসিক থাকেন। এর মধ্যে জনা কুড়ি স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া রয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কলেজে পুজোর ছুটি থাকছে। কিন্তু এবার পুজোর ছুটির সময় হস্টেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে, স্পেশাল ক্লাস করার ক্ষেত্রে আবাসিক ছাত্ররা সমস্যায় পড়বেন বলে দাবি করেন। কারণ, আবাসিক পড়ুয়াদের অধিকাংশেরই বাড়ি দূরবর্তী এলাকায়।

এ দিন সকাল থেকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অফিস ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেন আবাসিক পড়ুয়ারা। দুপুরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্ত এলে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আবাসিক পড়ুয়াদের দাবি মেনে নিয়ে নিমাইচাঁদবাবু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গিয়েছে। পুজোর ছুটিতে হস্টেল খোলা থাকবে। এ ব্যাপারে হস্টেল সুপারকে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

কেন হস্টেল বন্ধ রাখতে চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ? এ ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট জবাব দেন নি নিমাইচাঁদবাবু। তবে কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটিতে হস্টেল খোলা থাকলে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে সেই দায় বর্তাবে কর্তৃপক্ষের উপর। কারণ, স্নাতকোত্তর স্তরে স্পেশাল ক্লাসের অজুহাতে পুজোর ছুটির সময় কলেজের স্নাতক স্তরের আবাসিক পড়ুয়াদের একাংশ হস্টেলে থেকে যান। কলেজের একটি হস্টেলের আভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ে কর্তৃপক্ষের একাংশ রীতিমতো অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই এবার হস্টেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE