তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের রক্তগঙ্গা বাসন্তীর গ্রামে।
মারা গিয়েছে স্কুলফেরত এক বালক-সহ ২ জন। গুলিবিদ্ধ কমব্যাট ফোর্সের এক কর্মী-সহ ৬ জন। তাদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরও আছে। এক জনকে কোপানো হয়েছে। পুলিশকে লক্ষ করে নাগাড়ে বোমা-গুলি ছোড়া হয়। গুলি লেগে প্রাণ গিয়েছে হাসান লস্করের (৩২)। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে নানা অভিযোগ আছে। ক’দিন আগে শ’দেড়েক গুলি উদ্ধার হয়েছিল হাসানের কাছ থেকে। গুলিতে জখম হন উমেশ মাহাতো, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, উত্তম বেরা, অরুণ সর্দার, আলমগির লস্কর। আলমগির পড়ে স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে। জখমদের ক্যানিং হাসপাতাল ও কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।
গোটাটাই যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল, সে কথা চাপা দিতে পারছেন না নেতারাও। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাসন্তীতে যুব তৃণমূল ও তৃণমূলের মধ্যে নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খুন-জখমও হয়েছে। দলের জেলা নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ক’দিন আগেই গোসাবায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে যান। তার পরেও হানাহানি বন্ধ হওয়ার লক্ষণ নেই, বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা সেটাই আবার প্রমাণ করল।