বিমল গুরুঙ্গ। —ফাইল চিত্র।
নতুন করে জ্বলে উঠল পাহাড়। সেই সঙ্গে আবার নতুন করে চাগাড় দিয়ে উঠল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি। সেই দাবিতে এবং লাগাতার পুলিশির হামলার অভিযোগে এ বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপানোর কথা ঘোষণা করে দিল মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চার দাবি, শনিবার পাহাড়ে যে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার পর রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখা যায় না। রাজ্যের সঙ্গে কোনও ধরনের আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনাও খারিজ করে দিলেন বিনয় তামাঙ্গ। আর পাহাড়ি মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার ডাক দিলেন বিমল গুরুঙ্গ স্বয়ং।
আরও পড়ুন: পাহাড় জ্বলছে! গুলিতে ৪ মোর্চা কর্মীর মৃত্যু, পুলিশকে কোপ, নামল সেনা
এ দিন মোর্চার মিডিয়া অ্যাডভাইজার বিক্রম রাইয়ের গ্রেফতারির পর ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করে প্রতিবাদ। বিশেষ করে লেবঙ এবং সিংমারিতে ব্যাপক হারে সংঘর্ষ বাধে মোর্চা সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে। তা থামাতে যত কড়া হয়েছে প্রশাসন, আন্দোলনও তত জোরালো হয়েছে। শেষে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও, পুলিশের ছোড়া গুলিতে ৪ মোর্চা কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আহত হন আরও অনেকে। এতেই আরও ক্ষেপে যান মোর্চা কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসনের প্রতি তাঁদের মনোভাব ভীষণভাবেই বিরূপ হয়ে ওঠে। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই দমন-নীতির পাল্টা জবাব দেন বিমল গুরুঙ্গ। প্রয়োজনে সমস্ত মোর্চা কর্মীদের রাস্তায় বেরিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আ্দোলনে নামার ডাক দেন গুরুঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘কড়া জবাব দিতে হবে। সবাইকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রশাসনের বিরোধিতা করতে হবে। যে সমস্ত মোর্চা শহিদ হয়েছেন। তাঁদের সেলাম।’’
বিমল গুরুঙ্গ যেমন প্রশাসনের বিরুদ্ধে পথে নামার ডাক দিলেন, আর এক মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ তেমন এক বিবৃতিতে সাফ বললেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে আর কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁরা আলোচনার বসতে চান না। এ বার একমাত্র কেন্দ্রের সঙ্গেই যাবতীয় আলোচনা করবেন। সেখানে গোর্খাল্যান্ডের পাশাপাশি পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নিষ্ঠুর পদক্ষেপেরও বিচার চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy